কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : কুমারখালীতে চোর ধরাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমড়কান্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে মৃত আকরাম বিশ্বাসের ছেলে শহিদুলের নেতৃত্বে তার লোকজন এক চোরকে ধরে রাজ্জাকের বাড়ির সামনে নিয়ে মারধর করে। এ সময় আব্দুর রাজ্জাক তার বাড়ির সামনে মারতে নিষেধ করেন। পরে তারা ওই চোরকে একটু দূরে নিয়ে আবারো মারতে থাকে। এর এক পর্যায়ে পুলিশ এসে চোরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশকে খবর দেয়ার ব্যাপারে শহিদুল ও তার লোকজন আব্দুর রাজ্জাককে সন্দেহ করে। শনিবার সকালে রাজ্জাক বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে চা খেতে যাওয়ার সময় পুলিশে খবর দেয়াকে কেন্দ্র করে শহিদুল ও রাজ্জাকের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয় ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের লোকজনে মধ্যে আবারো সংঘর্ষ বেধে যায়। শহিদুল গ্রুপের ভুজালির (বড় ছুরি) আঘাতে আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত রাজ্জাকের স্ত্রী রেবেকা খাতুন ও ছেলে রাশেদ শেখসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিহত আব্দুর রাজ্জাক কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দী গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর ছেলে। তিনি কুমারখালীর জগন্নাথপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এমএলএসএস পদে কর্মরত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, চোর ধরাকে কেন্দ্র করে সকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।