একদিনে ২৭৮ করোনা রোগী শনাক্ত

আগের সংবাদ

দেশীয় কয়লা উত্তোলনে গুরুত্ব : বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নীতি ও পরিবেশ, বিশ্বে কয়লার ব্যবহার বেড়েছে

পরের সংবাদ

কর্ণফুলী নদীতে প্রতিদিন পড়ছে ২৫০ টন বর্জ্য

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : প্রতিদিন চট্টগ্রাম নগরী থেকে নানাভাবে প্রায় আড়াইশ টন পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এমন ভয়াবহ ও উদ্বেগজনক তথ্যই উঠে এসেছে দুই তরুণ গবেষকের গবেষণায়। এরা হলেন- চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী পিয়াল বড়–য়া ও আল আমিন। তারা প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার পালিতের অধীনে এ গবেষণা করেছেন। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন ভয়াবহ তথ্য হাজির করলেন তারা।
গবেষকরা বলেন, প্রতিদিন প্রায় ২৪৯ টন প্লাস্টিক ও পলিথিন জাতীয় বর্জ্য কর্ণফুলীতে নদীতে পড়ছে- যা মাছসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করছে। এতে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের রোগ। এছাড়া এসব বর্জ্য নগরের জলাবদ্ধতার কারণ বলে মনে করছেন তারা। চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগ ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের যৌথভাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনের জানানো হয়, চট্টগ্রাম শহরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ হিসাবে ২৪৯ টন হচ্ছে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য। এসব বর্জ্যরে মধ্যে আবার ৩৫ দশমিক ৬১ ভাগ পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। নদীতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নদীর তলদেশ কিংবা অন্যান্য স্তরে ভাসতে থাকা এসব প্লাস্টিক বর্জ্য খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করছে। এসব মাছ খাদ্য হিসেবে মানুষ গ্রহণ করায় মানবদেহে মিশে যাচ্ছে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মাইক্রোপ্লাস্টিক- যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ক্রমাগত প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য সৃষ্টির পেছনে সাধারণ মানুষের অসচেতনতা, যত্রতত্র ছুড়ে ফেলা, পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকা, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা না নেয়াকে দুষছেন গবেষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কর্ণফুলী সংকটে পড়লে সংকটে পড়বে চট্টগ্রামের মানুষ, তথা পুরো দেশ। এ নদীকে বাঁচাতে হলে সবার আগে পলিথিনের উৎপাদন সমূলে বন্ধ করতে হবে। এ জন্য সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
চট্টগ্রামের নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আলীউর রহমান বলেন, পুরো চট্টগ্রাম মহানগরীর পলিথিন বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে মিশছে। এতে নদীর তলদেশে পলিথিনের বড় স্তর জমেছে। প্লাস্টিক সহজে রিসাইকেল করা গেলেও পলিথিন সহজে রিসাইকেল করা যায় না। এসব পলিথিন নদী থেকে সাগর পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। এতে মাছের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে কর্ণফুলী নদীতে মাছের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার পালিত, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ, পরিবেশ সংগঠক মনোজ কুমার দেব প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়