কোহলির সেঞ্চুরি : আফগানদের ওপর ঝাল মিটাল ভারত

আগের সংবাদ

ভারতের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকায় আমন্ত্রণ : উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযোগে গুরুত্ব

পরের সংবাদ

সাবের হোসেন চৌধুরী : পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল হবে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : উন্নত রাষ্ট্রগুলোর কার্বন নিঃস্বরণের কারণে জলবায়ুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আরো যতœবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর আরামবাগে নটরডেম কলেজে আয়োজিত ১৩তম জাতীয় প্রকৃতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ যেমনভাবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ও দুর্যোগ মোকাবিলাসহ নানা বিষয়ে বিশ্বের রোল মডেল হয়েছে, একদিন পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রেও রোল মডেল হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতার বলয় গড়ে তুলব।
নটরডেম নেচার স্টাডি ক্লাব (এনডিএনএসসি) এই ১৩তম ন্যাশনাল নেচার সামিট ২০২২ আয়োজন করে। ক্লাবের মডারেটর বিপ্লব কুমার দেবের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফাদার হেমন্ত পিয়ুশ রোজারিও, ক্লাবের আজীবন সদস্য মো. নাজমুল কাদের প্রমুখ। সম্মেলন শেষে বেলুন উড়িয়ে প্রথমবারের মতো শিশু নিয়ে প্রকৃতি সম্মেলন ‘ফার্স্ট চিল্ড্রেন নেচার সামিট ২০২২’

উদ্বোধন করেন সাবের হোসেন চৌধুরী। সম্মেলন শুরুর আগে শব্দ ও বায়ু দূষণের উপর বিভিন্ন ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়। শব্দ দূষণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আয়োজন করা হয় কুইজ প্রতিযোগিতা। সম্মেলনে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রকৃতি এমন একটি জিনিস, যা দলবল নির্বিশেষে সবাই ভালোবাসে। নিজেদের অস্তিÍত্ব টিকিয়ে রাখতে এই ভালোবাসার বিকল্প নেই। এই ভালোবাসা থেকেই পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বও সবাইকে বুঝতে হবে। এরইমধ্যে সারাবিশ্বই পরিবেশের গুরুত্ব মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানেও দেশ কীভাবে পরিচালিত হবে সেই মূলনীতিতে পরিবেশ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন আইন করা হয়েছে। কিন্তু আইন কাজে আসবে না, যদি আমরা পরিবেশের গুরুত্ব উপলব্ধি না করে সচেতন হতে না পারি।
তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে গত দুই বছরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছেন। অথচ এই সময়ে বায়ু দূষণের কারণে ৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ বায়ু দূষণে বছরে ২ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায় আমাদের জন্য, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ দূষণ প্রতিহত করা কতটা জরুরি। এজন্যই আমরা জলবায়ু রক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের কথা বলছি। এটা বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুফল ভোগ করবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য ১৯৮৪ সাল থেকে নটরডেম নেচার স্টাডি ক্লাব কাজ করে যাচ্ছে। অর্থাৎ তখনই নটরডেম বুঝেছে প্রকৃতি রক্ষা করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই মহতি কাজকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। আমি আহ্বান জানাব, এই ক্লাবের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব নেচার ক্লাবকে যুক্ত করে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে। এজন্য প্রয়োজনে পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে আলাদা প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়