কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিল, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হবে। নির্বাচনী ইশতিহারের সেই প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্ম নামের এক সংগঠন। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইশতেহারে উল্লেখ থাকলেও গত ৪ বছরে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বরং এই দাবিতে আন্দোলন করলে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।
চাকারিপ্রত্যাশীরা জানান, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি দেয়া হয়েছে। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা গাজি লিকুর মাধ্যমে ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মাধ্যমে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। চাকারিপ্রত্যাশীরা বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বয়সসীমা ৩৫ আছে। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবেদনের বয়সসীমা আরো বাড়িয়েছে। অথচ আমরা ১৯৯১ সাল থেকে ৩১ বছর ধরে এক অচলায়তনের মধ্যে আছি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে বিষয়টি তাকে উপলব্ধি করানো যেতে পারে। কিন্তু চেষ্টা করেও আমরা সেই সুযোগ পাইনি। আপনাদের (সংবাদিক) মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে চাকরিপ্রত্যাশী মুক্তা সুলতানা বলেন, আপনি ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন।
আপনি জননেত্রী, বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আমরা আপনার সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করছি। আপনার সাক্ষাৎ পেলে আপনি আমাদের দাবি মেনে নেবেন বলে আশা করি।