মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাজলী-হোগলডাংগা গ্রামে রাশিদুল মোল্যা হত্যাকাণ্ডের পর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান মোল্যা এবং প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা আব্দুল হাই পবন মল্লিকসহ ২৬ জনকে আটক করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাজলী গ্রামের মতিয়ার মোল্লার বাড়ির সামনে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের কাওছার মোল্লার ছেলে রাশিদুল মোল্যা (৫৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান মোল্যা এবং হোগলডাঙ্গা গ্রামের আবদুল হাই পবন মল্লিকের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হান্নান ও পবন গ্রুপের লোকজন কাজলী গ্রামের মোল্যা মতিয়ার রহমানের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার ওপর মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সংঘর্ষে পবন গ্রুপের রাশিদুল মোল্লাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত রাশিদুলকে চিকিৎসার জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
শ্রীপুর থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ এজাহার দাখিল করেননি। এজাহার পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আব্দুল হাই পবন মল্লিক ও তার প্রতিপক্ষ গ্রুপের প্রধান আব্দুল হান্নান মোল্লাসহ ২৬ জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটক হওয়ার আগে আব্দুল হান্নান মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, পবন এক সময় নকশালের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে বিএনপিতে যোগ দিলেও সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া শুরু করেন। এরপর থেকে তিনি ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ছিলেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি।