কোহলির সেঞ্চুরি : আফগানদের ওপর ঝাল মিটাল ভারত

আগের সংবাদ

ভারতের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকায় আমন্ত্রণ : উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযোগে গুরুত্ব

পরের সংবাদ

ভিনদেশে প্রশংসিত বাংলাদেশি সিনেমা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব চলচ্চিত্রে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশি অনেক চলচ্চিত্রও জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের আসনে। অর্জন করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও প্রশংসা। সেরকম কিছু চলচ্চিত্র নিয়ে জানাচ্ছেন আর এস সৈকত

মোহনা 
১৯৮২ সালে খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবির নির্মাণ করেন তার পঞ্চম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মোহনা’। মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কার্যক্রম নিয়ে এ চলচ্চিত্রের কাহিনী রচিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরে স্বল্পসংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে স্বল্প খরচে গ্রামীণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া, তাদের এই সেবামূলক উদ্যোগে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাধা, দ্ব›েদ্বর সত্যচিত্র ফুটে উঠেছে এখানে। এতে অভিনয় করেছেন বুলবুল আহম্মেদ, জয়শ্রী কবির, অঞ্জনা রহমান, ইলিয়াস কাঞ্চন, সাইফুদ্দিন, প্রবীর মিত্র, আহমেদ শরীফ প্রমুখ। দেশের পাশাপাশি চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবেও বেশ প্রশংসিত হয়। ১৯৮২ সালে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রের জন্য নির্মাতা ‘ডিপ্লোমা অফ মেরিট’ লাভ করেন। এছাড়াও আলমগীর কবিরের নির্মিত ৩টি চলচ্চিত্র ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জরিপে সেরা দশ বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত; তার নির্মিত ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘রুপালি সৈকতে’ চলচ্চিত্রগুলোও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। 

চাকা 
সেলিম আল দীনের কাহিনী অবলম্বনে ১৯৯৩ সালে বিখ্যাত নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম নির্মাণ করেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চাকা’। শীতের সময় উত্তরবঙ্গের একটি এলাকায় দুজন গারোয়ানের ওপর দায়িত্ব পড়ে একটি বেওয়ারিশ লাশ পৌঁছে দেয়ার। তাদের লাশ নিয়ে ক্লান্তিকর যাত্রা শুরু হলেও লাশের কোনো পরিচয় মেলে না। লাশ নিয়ে এ গ্রাম থেকে ও গ্রামে ঠিকানা খুঁজে বেড়ায় তারা। এতে অভিনয় করেছেন আশিষ খন্দকার, আমিরুল হক চৌধুরী আবুল খায়ের, দিলারা জামান প্রমুখ। চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর দেশের পাশাপাশি বিদেশেও প্রশংসিত-পুরস্কৃত হয়। চলচ্চিত্রটি জার্মানির মানহাইম-হেইডেলবার্গ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎ?সবে পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক জুরি ও ইন্টারফিল্ম জুরি পুরস্কার এবং ডানকার্ক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎ?সব থেকে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে ‘গ্রাঁ প্রিঁ’, শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক ও স্টুডেন্ট জুরি পুরস্কার অর্জন করে। শুধু চাকা-ই নয়, মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত ‘আগামী’, ‘সূচনা’, ‘দূরত্ব’, ‘খেলাঘর’, ‘অনিল বাগচীর একদিন’ চলচ্চিত্রগুলোও দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছে।

চিত্রা নদীর পারে 
১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন প্রখ্যাত নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল। ১৯৪৭ সালের দেশভাগ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনে যে বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল, তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্রটির কাহিনী ১৯৪৭ থেকে শুরু হয়ে ষাটের দশকে শেষ হয়। এতে অভিনয় করেছেন মমতাজউদ্দীন আহমেদ, আফসানা মিমি, তৌকির আহমেদ, রওশন জামিল, সুমিতা দেবী প্রমুখ। মুক্তির পর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে বেশ প্রশংসিত হয়। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জরিপে সর্বকালের সেরা ১০ বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের সমালোচক ও দর্শকপ্রিয়তা উভয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এ চলচ্চিত্রটি। এছাড়া নির্মাতার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লালসালু’, ‘রূপসা নদীর বাঁকে’, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র- ‘কর্ণফুলীর কান্না’, ‘স্বপ্নভূমি’ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে।

মাটির ময়না 
২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি তারেক মাসুদের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমিতে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। যেখানে তারেক মাসুদের ছোটবেলার মাদ্রাসায় পাঠের অভিজ্ঞতাও ফুটে উঠেছে। এতে অভিনয় করেছেন নুরুল ইসলাম বাবলু, রাসেল ফরাজী, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রোকেয়া প্রাচী, শোয়েব ইসলাম, লামিসা, রিমঝিম প্রমুখ। প্রথম দিকে বাংলাদেশে চলচ্চিত্রটির মুক্তি নিষিদ্ধ হলেও পরবর্তীতে সে জড়া কাটে লেজার ভিশনের ডিভিডি সংস্করণ মুক্তির পর। ২০০২ সালে ৫৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটির আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনী হয় এবং প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে ‘মাটির ময়না’ এ উৎসবে ডিরেক্টর্স ফোর্টনাইট শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে ফিপরেস্কি আন্তর্জাতিক সমালোচক পুরস্কার লাভ করে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও ২৪তম বাচসাসে ৫টিসহ বিভিন্ন দেশীয়-আন্তর্জাতিক পুরস্কার জেতে চলচ্চিত্রটি। একইসঙ্গে ২০০২ সালে ৭৫তম একাডেমি পুরস্কার আয়োজনে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে বাংলাদেশের নিবেদিত প্রথম চলচ্চিত্রও এটি।

শুনতে কি পাও
কামার আহমাদ সাইমন পরিচালিত ও তার সহধর্মিণী সারা আফরীন প্রযোজিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি ২০০৯ সালে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আইলা পরবর্তী সমাজব্যবস্থার ওপর নির্মিত হয়েছে এই চলচ্চিত্রটি। মোট নয়টি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালে বাংলাদেশে মুক্তি পায়। ২০১২ সালের ২৯ অক্টোবরে প্রাচীন প্রামাণ্য উৎসব ডক-লাইপজিগের ৫৫তম আসরের ‘উদ্বোধনী ছবির’ আমন্ত্রণ পেয়ে আলোচনায় আসে। এরপর ইডফা’র ২৫তম আসর, জাপানের ইমায়াগাতায় ‘নিউ এশিয়ান কারেন্ট’ প্রতিযোগিতাসহ প্রায় ২৫টি আন্তর্জাতিক উৎসবে আমন্ত্রিত হয় ছবিটি। ২০১৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত প্রামাণ্য উৎসব সিনেমা দ্যু রিলের ৩৫তম আসরে ছবিটি জিতে শ্রেষ্ঠ ছবির জন্য সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘গ্রাঁ পি্রঁ’ জেতে চলচ্চিত্রটি। ২০১৪ এর ফেব্রুয়ারিতে এশিয়ার অন্যতম প্রধান প্রামাণ্য উৎসব মুম্বাই আন্তর্জাতিক উৎসবে জিতে নেয় শ্রেষ্ঠ ছবির জন্য সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘স্বর্ণশঙ্খ’। ২০১৬ এর আগস্টে ছবিটি প্রদর্শিত হয় সুইজারল্যান্ডের লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ‘ওপেন ডোর্স স্ক্রিনিং’ বিভাগে।
এছাড়াও সাইমনের ‘একটি সূতার জবানবন্দি’, ‘নীল মুকুট’, ‘অন্যদিন’ চলচ্চিত্রগুলোও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসার পাশাপাশি পুরস্কার লাভ করেছে। 
টেলিভিশন 
মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী পরিচালিত চলচ্চিত্রটি ২০১৩ সালে ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পায়। এটি তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে নির্মাণ করা হয়েছে যথক্রমে ছবিয়াল, স্টার সিনেপ্লেক্স ও জার্মানির মোগাদর ফিল্ম। এতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা প্রমুখ। একটি গ্রামের চেয়ারম্যান যিনি তার গ্রামে সব ধরনের ছবি নিষিদ্ধ করেন। এরকমই একটি গল্পকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। দেশে বিদেশে প্রশংসিত চলচ্চিত্রটি নির্মাণাধীন থাকাকালেই গুটেনবর্গ ফিল্ম ফেস্টিভালে চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কার লাভ করে। মুক্তির আগেই জিতে নেয় এশিয়ান সিনেমা ফান্ড ফর পোস্ট প্রোডাকশন পুরস্কার। ৮৬ তম অস্কারে বিদেশি ভাষার ছবির প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য চলচ্চিত্রটিকে বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এছাড়া ১৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘এশিয়ান সিলেক্ট’ ক্যাটাগরিতে সেরা ছবি হিসেবে ‘নেটপ্যাক পুরস্কার’, অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৩ এশিয়া-প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডে, ফার্স্ট জুরি গ্র্যান্ড পুরস্কার অর্জন করে চলচ্চিত্রটি। এছাড়া ফারুকীর ‘পিঁপড়াবিদ্যা’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘ডুব’ চলচ্চিত্রগুলোও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা ও পুরস্কার অর্জন করে। 
জালালের গল্প 
নির্মাতা, প্রযোজক আবু শাহেদ ইমনের নির্মিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি ২০১৫ সালে মুক্তি পেলেও ২০১৪ সালে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। যেখানে চলচ্চিত্রের মূল চরিত্র জালালের তিনটি বয়সের গল্প নিয়ে দেখানো হয়েছে। এই তিন বয়সে জালালের জীবনে তিন ধরনের সামাজিক পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতার গল্প ফুটে ওঠে এখানে। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, মৌসুমি হামিদ, আরাফাত রহমান ও মোহাম্মদ ইমন। চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান সিনেমা ফান্ড পেয়েছিল, এই উৎসবেই চলচ্চিত্রটির বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়। ২০১৫ সালে পর্তুগালে আভাঙ্কা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবি নির্বাচিত হয় ‘জালালের গল্প’। সেরা অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন মোশাররফ করিম। ২০১৫ সালে গোয়ায় ৪৫তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম চালু হওয়া ‘অ্যা উইন্ডো অন সাউথ এশিয়ান সিনেমা’ বিভাগে একমাত্র বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হয়। একই বছর। ভারতের রাজস্থানে অনুষ্ঠিত সপ্তম জয়পুর চলচ্চিত্র উৎসবে আবু শাহেদ ইমন সেরা নবাগত নির্মাতার পুরস্কার লাভ করেন। ওই বছর তেহরানে অনুষ্ঠিত ৩৩তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হয় এটি। ফিজির রাজধানী সুভায় ২০১৫ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ফিজি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে ‘জালালের গল্প’ প্রদর্শিত হয়। অস্কারের ৮৮তম আসরের জন্য বিদেশি ভাষা বিভাগে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয় চলচ্চিত্রটি।
আন্ডার কন্সট্রাকশন
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন পরিচালিত চলচ্চিত্রটি ২০১৫ সালে সিয়াটল চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ারের পর ২০১৬ বাংলাদেশে মুক্তি পায়। এছাড়াও ফ্রান্সে মুক্তি পাওয়ার পর বিশটির বেশি হলে সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শিত হয়। সমকালীন একজন মধ্যবিত্ত নারীর আত্ম অনুসন্ধানের পাশাপাশি একজন নারী পোশাক শ্রমিকের জীবনের তুলনামূলক সংগ্রাম এ চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন নওশাবা আহমেদ, রাহুল বোস, মিতা চৌধুরী প্রমুখ।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও চলচ্চিত্রটি সিয়াটল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসব, মন্ট্রিয়েল বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসব, সাও পাওলো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, স্টকহোম চলচ্চিত্র উৎসব, এমিলি গিমে পুরস্কার, আন্তর্জাতিক এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে সমালোচকদের বিশেষ পুরস্কার, আন্তর্জাতিক জুরি পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ উদীয়মান পরিচালক পদক, এশিয়ান আমেরিকান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শ্রেষ্ঠ দর্শক পুরস্কার লাভ করে। এছাড়াও রুবাইয়াতের নির্মিত ‘মেহেরজান’, ‘শিমু-মেইড ইন বাংলাদেশ’; চলচ্চিত্রগুলোও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রশংসিত হয় এবং পুরস্কার লাভ করে।

অজ্ঞাতনামা 
২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন তৌকির আহমেদ। ২০১৫ সালে একুশে বইমেলায় নিজের প্রকাশিত অজ্ঞাতনামা বইয়েরই চলচ্চিত্রায়ন এটি। বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মানবপাচারের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এটি। এতে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, মোশাররফ করিম, ফজলুর রহমান বাবু ও নিপুণ আক্তার। চলচ্চিত্রটি ৬৯তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাণিজ্যিক শাখায় প্রদর্শনের পাশাপাশি ইতালির গালফ অফ ন্যাপলস ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভালে জুরি স্পেশাল মেনশন পুরস্কার অর্জন করে। দেশে বিদেশে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত চলচ্চিত্রটি ৮৯তম একাডেমি পুরস্কারে সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য বাংলাদেশ থেকে মনোনীত করা হয়। এছাড়া নির্মাতার ‘জয়যাত্রা’, ‘রূপকথার গল্প’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘হালদা’, ‘ফাগুন হাওয়ায়’ চলচ্চিত্রগুলোও আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হয়েছে। 

রেহানা মরিয়ম নূর 
২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। ৩৭ বছর বয়সি একজন মেডিকেল কলেজের শিক্ষিকার জীবন সংগ্রামের গল্প ফুটে উঠেছে চলচ্চিত্রে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। ২০২১ সালে চলচ্চিত্রটি ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসব আসরের আঁ সেরতাঁ র‌্যাগার বিভাগে নির্বাচিত হয়। যা এই বিভাগে স্থান পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। ১৪তম এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে গ্র্যান্ড জুরি পুরস্কার অর্জন করে এবং বাঁধন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া নির্মাতার প্রথম চলচ্চিত্র ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ ২৭তম সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালক এবং সেরা অভিনেতার জন্য রৌপ্য পদক পেয়েছিল।
উল্লেখ্য চলচ্চিত্র ছাড়াও গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’, অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘আয়নাবাজি’, ‘রিক্সাগার্ল’, নূর ইমরান মিঠুর ‘কমলা রকেট’, বিজন ইমতিয়াজের ‘মাটির প্রজার দেশে’, মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’, রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘নোনা জলের কাব্য’, এন রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী কথা’সহ আরো অনেক চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা ও পুরস্কার
লাভ করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়