কোহলির সেঞ্চুরি : আফগানদের ওপর ঝাল মিটাল ভারত

আগের সংবাদ

ভারতের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকায় আমন্ত্রণ : উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযোগে গুরুত্ব

পরের সংবাদ

বাবা-ভাই গ্রেপ্তার : বেগমগঞ্জে মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যা করে মাটিচাপা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী থেকে : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নুর হোসেন শাকিল (২৪) নামে এক যুবককে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দেয়ার তিন দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নুর হোসেনের বাবা-মা ও ছোট ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর মাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিহত নুর হোসেনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরআগে বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর গ্রামের করিম হাজির পুকুরপাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, নুর হোসেনের বাবা বাবুল হোসেন (৬২), মা ফাতেমা বেগম (৫২) ও ছোট ভাই এমাম হোসেনকে (২১) আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করায় বাবা-ভাইসহ তিনজনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর মাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সকালে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নুর হোসেন মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদকে আসক্ত থাকায় তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে গত ৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কোনো একসময় নুর হোসেনকে মারধরে হত্যা করা হয়। পরে লাশ বাড়ির বসতঘর সংলগ্ন পুকুরপাড়ে গর্ত করে চাপা দেয়া হয়। বুধবার বিকালে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি জানাজানি হয়।
বিষয়টি জানার পর বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক তাৎক্ষণিক পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নুর হোসেনের বাবা-মা ও ছোট ভাইকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবা ও ভাই নুর হোসেনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বসতঘরসংলগ্ন পুকুরপাড়ের মাটি খুঁড়ে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে আটটার দিকে নুর হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে নুর হোসেনকে পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেন। এরপর বসতঘর সংলগ্ন পুকুরপাড়ে তার লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখেন।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম ঘটনাটিকে রোমহর্ষক উল্লেখ করে বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। মামলার এজহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্য এক আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়