কোহলির সেঞ্চুরি : আফগানদের ওপর ঝাল মিটাল ভারত

আগের সংবাদ

ভারতের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকায় আমন্ত্রণ : উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযোগে গুরুত্ব

পরের সংবাদ

ফের চড়েছে ডিম সবজি-মাছ-মুরগি ঊর্ধমূখি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সম্প্রতি অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পর ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরসহ সরকারি সংস্থাগুলোর অভিযানের মুখে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে গরিবের পুষ্টিখ্যাত ব্রয়লার মুরগির ডিম। কিন্তু এই দাম এক সপ্তাহও স্থির থাকেনি। সপ্তাহের ব্যাবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে আবারো প্রতি ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম বাড়লেও আগের বাড়তি দামে অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগি, মাছ ও সবজি। সব কিছুর দাম যখন বাড়তির দিকে তখন কেজিতে ৫ টাকা কমে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে পেঁয়াজ। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গতকাল রাজধানীর বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ডিমের ডজন বিক্রি করেছেন ১৩০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২০ টাকা। ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে মালিবাগ বাজারের ব্যবসায়ী ইলিয়াছ হোসেন বলেন, মাঝে ডিমের ডজন ১৬০ টাকা হয়েছিল। সে সময় ডিমের চাহিদা কমে যায়। যার প্রেক্ষিতে দাম কমে ডজন ১২০ টাকায় নেমেছিল। তবে এখন আবার ডিমের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে দাম বাড়ছে। শান্তিনগর বাজারের ব্যবসায়ী মো. আলম বলেন, গত সপ্তাহে এক ডজন ডিম ১২০ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু দুই-তিন দিন ধরে পাইকারিতে ডিমের দাম বাড়তি। আমাদের ধারণা ডিমের বিক্রি বাড়ায় এই দাম বেড়েছে। তবে ডিমের দাম আর না বাড়ার সম্ভাবনা বেশি।
এদিকে ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে পেঁয়াজের দাম। খুচরা ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি ৩৫ টাকার ওপরে ছিল। কিছুদিন আগে অস্বাভাবিক দাম বেড়ে কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা হয়ে যায়। তবে গত সপ্তাহে দাম কমে কাঁচামরিচের কেজি ৪০ টাকায় নেমে আসে। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গত সপ্তাহের মতো বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচামরিচের পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি করছেন ১৮০ টাকা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর ব্রয়লার মুরগি কেজি ২০০ টাকায় উঠেছিল। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির
দাম। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।
এদিকে বাজারে নতুন সবজি হিসেবে শিম ও ফুলকপি প্রায় এক মাস ধরে পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে না। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এই দুই সবজি। পাশাপাশি অন্য সবজির দামও বেশ চড়া। গত সপ্তাহে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিম এখন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। শিমের দাম কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর এবং বরবটির দাম। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। দামি এই সবজিগুলোর পাশাপাশি বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সবজির দামের বিষয়ে যাত্রাবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী মো. করিম বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। বেশিরভাগ সবজি গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে বেশ বৃষ্টি হয়েছে। তাই আমাদের ধারণা সামনে সবজির দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এছাড়া এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংসের দাম ৮০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ-মাংসের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়