কোহলির সেঞ্চুরি : আফগানদের ওপর ঝাল মিটাল ভারত

আগের সংবাদ

ভারতের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকায় আমন্ত্রণ : উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযোগে গুরুত্ব

পরের সংবাদ

পাবনায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনাসহ সারাদেশে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করে আসা একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত এক সপ্তাহ ধরে ভোলা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শেষে তাদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতিতে ব্যবহৃত ডিবি পুলিশের পোশাক, মাইক্রোকার ও হ্যান্ডকাপসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার পাবনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার দোহাকালা গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে মাসুদ করিম (৪৭), বড় পাঙ্গাসী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত সাবেদ প্রামাণিকের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩২), উল্লাপাড়া পশ্চিমপাড়ার নান্নু মিয়ার ছেলে মো. আরিফ (৩৩), চর আঙ্গুর গ্রামের আব্দুস শুকুর মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৮), প্রামাণিক পাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের প্রামাণিকের ছেলে মাসুদ রানা, ভোলা জেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে মো. হোসেন ড্রাইভার।
পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী জানান, গত ২৫ আগস্ট পাবনার জনতা ব্যাঙ্ক কাশীনাথপুর শাখা থেকে পার্শ্ববর্তী হাবিবুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে বাড়ির দিকে রওনা হয়। পথে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের নান্দিয়ারা কবরস্থানের সামনে একটি সাদা মাইক্রোবাস শরিফুলকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে চোখ ও হাত-পা বেঁধে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আলাদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাইক্রোবাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরদিন ২৬ আগস্ট শরিফুল আমিনপুর থানায় বিষয়টি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের সূত্র ধরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নামে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে টানা এক সপ্তাহ তদন্ত করে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। কয়েক দফা অভিযানে ভোলা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর থেকে ডাকাত চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত পুলিশের পোশাক, হ্যান্ডকাফ, ওকিটকি, পুলিশের সিগন্যাল লাইটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আলামত উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ১৬৪ ধারায় স্বীকোরোক্তি দিয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাসুদ করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি, আরিফের বিরুদ্ধে অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র, মাদকসহ ৮টি, আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফের বিরুদ্ধে অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ মোট ৬টি ও আলমগীর হোসেন ওরফে ড্রাইভার হোসেনের বিরুদ্ধে ছিনতাই, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪টি মামলা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়