কোহলির সেঞ্চুরি : আফগানদের ওপর ঝাল মিটাল ভারত

আগের সংবাদ

ভারতের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকায় আমন্ত্রণ : উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযোগে গুরুত্ব

পরের সংবাদ

চাকরির বয়সসীমা : শাহবাগ অবরোধে পুলিশের লাঠিচার্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে অবরোধে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় একজনকে আটক করা হয়। গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানী শাহবাগ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে ‘চাকরি প্রত্যাশী যুব প্রজন্ম’ ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী শাহবাগ মোড়ের চতুর্দিকের রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়ে। অবরোধে তারা সরকারকে নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী চাকরির বয়স বাড়ানোর দাবি জানান। এতে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটে।
শিক্ষার্থীদের অবরোধের প্রায় আধা ঘণ্টা পরে রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। লাঠিচার্জে আন্দোলনকারীদের প্রায় ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্য পাঁচজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- রেজোয়ানা বিন্দু, সোনিয়া হোসেন, মইনুল হাসান, শাওন সোমা, আলী হোসেন প্রমুখ।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আন্দোলনকারী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, আমাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা আমাদের সুস্পষ্ট দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছিলাম। আমাদের এ আন্দোলন চলবে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূদ হাওলাদার বলেন, চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে তারা রাস্তা বন্ধ করে দেয়। আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি। একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে যেহেতু কোনো মারামারি বা অন্যকিছু হয়নি তাই এ ঘটনায় কোনো মামলা হবে না।
নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের দাবি : ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নির্বাচনী ইশতোর বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে চাকরি প্রত্যাশী যুব প্রজন্ম নামের এক সংগঠন। গতকাল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল। কিন্তু
বিগত ৪ বছরে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং এই দাবিতে আন্দোলন করলে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।
চাকারি প্রত্যাশীরা জানায়, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি দেয়া হয়েছে। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা গাজি লিকুর মাধ্যমে ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মাধ্যমে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
তারা বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বয়সসীমা ৩৫ আছে। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবেদনের বয়সসীমা আরো বাড়িয়েছে। অথচ আমরা ১৯৯১ সাল থেকে ৩১ বছর ধরে এক অচলায়তনের মধ্যে আছি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্মের সংগঠকরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে বিষয়টি উনাকে উপলব্ধি করানো যেতে পারে। কিন্তু চেষ্টা করেও সেই সুযোগ পাইনি। আপনাদের (সংবাদিক) মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে চাকরিপ্রত্যাশী মুক্তা সুলতানা বলেন, আপনি ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। আপনি জননেত্রী, বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আমরা আপনার সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করছি। আপনার সাক্ষাৎ পেলে আপনি আমাদের দাবি মেনে নিবেন বলে আশা করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়