কোহলির সেঞ্চুরি : আফগানদের ওপর ঝাল মিটাল ভারত

আগের সংবাদ

ভারতের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকায় আমন্ত্রণ : উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযোগে গুরুত্ব

পরের সংবাদ

চাঁপাইয়ে দিনে ১৮ কোটি টাকার আম বেচাকেনা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আতিক ইসলাম সিকো, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে : আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে শেষ মুহূর্তে কানসাট আম বাজারে প্রতিদিন আশ্বিনা, গৌড়মতি ও কাটিমন আম বেচাকেনা হচ্ছে প্রায় ১৬-১৮ কোটি টাকার। এবার ভালো দাম পেয়ে লোকসান কাটিয়ে উঠছেন চাষি, ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা। এ বছর প্রত্যাশার চেয়েও ভালো দামে আম কেনাবেচা করে বিগত বছরের লোকসান পুষিয়ে নেয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরজমিন কনসাট আম বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভরা মৌসুমের মতোই এখনো জমে আছে এই আম বাজার। ডালিতে সাজানো শত শত সুস্বাদু আম নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। আর শেষ মুহূর্তে আমের চাহিদা বেশি থাকায় ক্রেতারাও যেন ঠাঁই নেই। আশ্বিনা প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ভালো দাম পেয়ে বেশ খুশি আমচাষিরা।
উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের আমচাষি রবিউল ইসলাম বলেন, আশ্বিনা আম নিয়ে বাজারে এসেছিলাম। ৪ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। এবার আমের দাম ভালো। গেল কয়েক বছর থেকে আমে অনেক লোকসান হয়েছে। তবে এবার প্রায় সব জাতের আমের দাম ভালো ছিল। ফলে অনেক লাভবান হয়েছি। আমার গাছে আরো প্রায় ৩০ মণ আম রয়েছে। আশা করছি এ বাজারে আরো ২৫ দিন আম থাকবে।
কানসাট বাজারে আম নিয়ে এসেছেন টিকোরী বাজারের এসলাম আলী। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আমের বাজার বেশ ভালো। আমরা কখনো আশা করতে পারিনি যে, আশ্বিনা আম ৫ হাজার টাকা মণ বিক্রি করতে পারব। বিগত দিনে আমের দাম না পাওয়ায় অনেক আমচাষি পানির দামে বাগান বিক্রি করেছে। স্বল্প দামে বাগান কিনে অনেক ব্যবসায়ী এবার লাখ লাখ টাকা লাভ করেছে। কানসাট আম আড়ত ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, সারাদেশেই আম শেষ হয়ে গেছে। তবে কানসাট বাজারে আরো ২০-৩০ দিন আম থাকবে। বর্তমানে আশ্বিনা আম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি অন্য কিছু আম আসছে। তবে তুলনামূলক খুবই কম। যেমন একটি গৌড়মতি আমের ভ্যান এসেছিল। ১৬ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) রাজিবুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, জেলার সব থেকে বেশি আম উৎপাদন হয় শিবগঞ্জ উপজেলায়। আর এ উপজেলায় অবস্থিত কনসাট আম বাজার। যা এখনো পুরোদমে চলছে। শেষ সময়ে এসেও কানসাট আম বাজারে প্রতিদিন আশ্বিনা, গৌড়মতি ও কাটিমন আম বেচাকেনা হচ্ছে প্রায় ১৬-১৮ কোটি টাকার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়