কোহলির সেঞ্চুরি : আফগানদের ওপর ঝাল মিটাল ভারত

আগের সংবাদ

ভারতের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকায় আমন্ত্রণ : উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযোগে গুরুত্ব

পরের সংবাদ

কুয়াকাটা ক্লাবের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতার অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ অমান্য করে ভূমিদস্যুতায় লিপ্ত হয়েছে কুয়াকাটা ক্লাব। অন্যের জমি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, কুয়াকাটা ক্লাব কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র পর্যালোচনা ছাড়াই ৪ একর ১৭ শতক জমি বারবার মামলায় হেরে যাওয়া একটি পক্ষের কাছ থেকে বায়না চুক্তি করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। কুয়াকাটায় জমি ক্রয়-বিক্রয়ে অনুমোদন নেয়ার নিয়ম থাকায় মামলার তথ্য গোপন করে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদনও পেয়ে গেছেন। এখন যে কোনো মুহূর্তে দলিল রেজিস্ট্রি করে নেবেন এমন আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করেছেন জমির মালিকানা দাবিদারদের একজন গাজী আব্বাস উদ্দিন আহম্মেদ (বাচ্চু)। তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বলেন, কুয়াকাটা ক্লাবের মতো একটি সামাজিক সংগঠন এমন অস্বচ্ছতার আশ্রয় নিয়ে দখল নৈরাজ্য করলে তা আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে।
কুয়াকাটা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেই প্রকৃত জমির মালিকদের কাছ থেকে রেজিস্ট্র বায়না চুক্তি সম্পাদন করে আমরা ভোগদখলে রয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, পর্যটন নগরী কুয়াকাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে এসএ ২০৮ নং খতিয়ানের মালিক রাখাইন সম্প্রদায় ইয়োছেনা মগনী ও লাথয়ে মগের কাছ থেকে ১৩ একর ৫৪ শতক জমির পত্তন মূলে মালিক ছিলেন মরহুম আ. করিম হাওলাদার। তার মালিকানা স্বত্ব আদালত কর্তৃক দেওয়ানি ১২৩/৭৫নং মোকাদ্দমায় রায় ডিক্রি বলে স্বীকৃত। এ জমি বেআইনিভাবে পেশি শক্তির জোরে স্থানীয় মো. আইউব আলী সিকদার এবং আ. মন্নান হাওলাদার গং প্রকৃত মালিক আ. করিম হাওলাদারের মৃত্যুতে ডিক্রি বাতিলের অপচেষ্টায় দেওয়ানি মামলা করে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে দেওয়ানি ১১/২০০৩ মোকাদ্দমা করে মো. আইউব আলী সিকদার আপিল করেন। যা দ্বিপাক্ষিকভাবে আ. করিম হাওলাদারের অনুকূলে মো. আইউব আলী সিকদার গংদের আপিল খারিজ হয়। এ জমি আ. করিম হাওলাদারের ওয়ারিশদের নামে নামজারি ও খাজনা দাখিলা সম্পন্ন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গাজী আব্বাস উদ্দিন আহম্মেদ দাবী করেন, নগত টাকার প্রয়োজনে মরহুম করিম হাওলাদারের ওয়ারিশগন কলাপাড়া এস আর অফিসের ২৬/০৫/২০১১ তারিখের রেজিস্টিকৃত ৪৩৫২ ও ৪৩৫৩ এবং ৭/৬/২০১১ তারিখে রেজিস্টিকৃত ৪৫৫৩/১১ নং বায়না দলিল মূলে ৮ একর ৬৪ শতক জমি বায়নাসহ আমাদের কতিপয় ব্যক্তির নামে হস্তান্তর করে। এবং ২৬/৫/১১ তারিখে কলাপাড়া এসআর অফিসে রেজিস্টিকৃত ১৩৪৮ ও ১৩৫০ নং আমমোক্তারনামা দলিলমূলে তফসিলভুক্ত সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, মামলা পরিচালনা এবং ক্রয় বিক্রয়ের জন্য মো. আবুল কালাম ও আমি গাজী মো. আব্বাস উদ্দিনকে ওয়ারিশরা আমমোক্তার নিযুক্ত করেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আইউব আলী সিকদার ও আ. মান্নান হাওলাদার গং নি¤œ আদালত ও উচ্চ আদালতে মালিকানা দাবি স্বত্ব না করতে পেরে কুয়াকাটা ক্লাবের কাছে বিক্রি করে। এবং কলেজ নির্মাণের জন্য জমি মৌখিকভাবে দান করে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেখানে গোপনে জমির আকার আকৃতি পরিবর্তন করেছে। যা সম্পূর্ণ বে-আইনি। তিনি আরো দাবি করেন, জরিপকারী কর্মকর্তারা কাগজপত্র পর্যালোচনা না করে বিশেষ সুবিধা নিয়ে আইউব আলী গংদের নামে বিএস জরিপ করে দেয়। মালিকানা স্বত্ব না থাকলেও শুধুমাত্র ভুলবসত বিএস জরিপের বলে বিরোধপূর্ণ জমি তরিগড়ি করে বিক্রি এবং দানপত্র দলিল করে দিয়ে নিজের দাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। উচ্চ আদালতের রায় ডিক্রি বলে বর্তমানে বিএস জরিপ সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আইউব আলী সিকদার ও আ. মান্নান গং স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় পেশিশক্তির বলে জোরপূর্বক দখল করে ভোগদখল করছে। ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করে প্রকৃত মালিকদের মালিকানা স্বত্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়