কোহলির সেঞ্চুরি : আফগানদের ওপর ঝাল মিটাল ভারত

আগের সংবাদ

ভারতের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকায় আমন্ত্রণ : উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযোগে গুরুত্ব

পরের সংবাদ

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ : নবীনগর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আর মজিবের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৮ ইউপি সদস্য। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল রানা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এককভাবে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও পছন্দের লোকজন দিয়ে ডিজিটাল সেন্টারে জন্মনিবন্ধন বাবদ নির্দিষ্ট ফি’র বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। শিবপুর ইউনিয়নের সংস্কার ও মেরামতের জন্য ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৫ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কোনো কাজ না করে সব টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় পরিষদের দুটি কক্ষ টাইলস করার কথা প্রকল্পে উল্লেখ থাকলেও তিনি মাত্র তার নিজের রুম টাইলস করে বাকি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। গত তিন বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়, পাশাপাশি হোল্ডিং নম্বর প্লেট স্থাপন করে কমপক্ষে ৩১ লাখ টাকা উঠিয়েছেন। এই ট্যাক্স ব্যাংক হিসাবে জমা না করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নিজেই হস্তগত করে রেখেছেন।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, ৪নং ওয়ার্ডের মো. সোহেল রানা, ৫নং ওয়ার্ডের আহসান হাবিব, ৭নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ বশির মিয়া, ৮নং ওয়ার্ডের ইকবাল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ডের মাসুদ মিয়া, ৭, ৮, ৯ নং সংরক্ষিত আসনের রোকসানা পারভিন, ১, ২, ৩নং ওয়ার্ডের আছমা আক্তার।
অভিযোগের বিষয়ে শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমআর মজিব বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত। একটি মহল আমার সুমান ক্ষুণ্নœ করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকী বলেন, গত বুধবার অভিযোগটি আমার হাতে এসে পৌঁছেছে। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়