আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বাহার মোল্লা নামে এক শ্রমিক। এর পর থেকে তিনি প্রায় অচল হয়ে প্রাণে বেঁচে আছেন। এ ঘটনার প্রায় ১০ বছর পর গত বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তার ছেলে সৃজন মোল্লা (২৫)। কিন্তু বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পিতা রক্ষা পেলেও ও তার ছেলে রক্ষা পাননি। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ মৃত্যু যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তার পরিবার। সবাই যেন শোকে পাথর হয়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ধাতুর পহেলা গ্রামে ওয়ার্কশপে নিজের অটো রিকশা মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সৃজন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এমরান হোসেন নামে তার এক চাচাতো ভাই আহত হন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে অটো রিকশা মেরামত করতে ঘর থেকে বের হয়ে গ্রামের একটি ওয়ার্কশপে যান। সেখানে অসাবধানে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ধাতুরপহেলা গ্রামে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পাড়া প্রতিবেশী ও স্বজনদের ভিড়। ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় সৃজনের মা, বাবা স্ত্রীসহ আত্মীয়-স্বজনরা বিলাপ করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: বাবলু বলেন, গত প্রায় ৬ মাস আগে সৃজন বিয়ে করে। বর্তমানে তার বাবা খুবই অসুস্থ। পরিবারের খরচ যোগাতে সে একটি অটো রিকশা চালাতো। এতেই চলত তাদের সংসার। মো: আক্তার হোসেন বলেন, সৃজন খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। সে সুন্দর সুন্দর কথা বলতো। আমাদের সবাইকে সব সময় সে মাতিয়ে রাখত। ছোট বড় সবাই তাকে পছন্দ করত। এই কথা বলে তিসি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম বলেন, খোঁজ নিয়ে নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।