বাম গণতান্ত্রিক জোটের হুঁশিয়ারি : দমন-পীড়ন করে গদি রক্ষা করা যাবে না

আগের সংবাদ

চার কারণে ভ্যাট আদায়ে বিপর্যয়

পরের সংবাদ

শিল্পকলা একাডেমি : দীর্ঘ বিরতি শেষে ‘সোনাই মাধব’

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দীর্ঘ বিরতি শেষে শিল্পকলায় মঞ্চায়ন হলো লোক নাট্যদলের দর্শক নন্দিত প্রযোজনা সোনাই মাধব। ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে পদাবলী যাত্রা ‘সোনাই মাধব’ নাটকটি নতুন আঙ্গিকে আবারো মঞ্চে এনেছে দলটি। ১৯৯৩ সালে নাটকটি প্রথম মঞ্চে আসে, তখন এই নাটকের নারী চরিত্রগুলিতে ছেলেরা অভিনয় করত। কিন্তু‘ নতুন আঙ্গিকে এবার ‘সোনাই মাধব’ নাটকটিতে নারী চরিত্রগুলিতে নারীরাই অভিনয় করছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটি মঞ্চায়ন হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। নাটকে ব্যবহৃত গানের সুরারোপ করেছেন দীনেন্দ্র চৌধুরী ও লিয়াকত আলী লাকী এবং পরিকল্পনা, সংগীত পরিচালনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন লোক নাট্যদলের অধিকর্তা লিয়াকত আলী লাকী।
সোনাই-মাধব মূলতঃ সোনাই এবং মাধবের প্রেম ও চির বিচ্ছেদের কাহিনী, আর এর মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে মানব সমাজের বিভিন্ন দিক। বাবা নাই, ভাই নাই, মায়ের একমাত্র সন্তান সোনাই। রূপে-গুণে অতুলনীয়। তার মা তাকে তার মামার কাছে রেখে আসে সুন্দর ভালো পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য। ঘটকের আনা কোন পাত্রই মামা-মামির পছন্দ হয় না। এরই মধ্যে সোনাইয়ের সঙ্গে মাধবের দেখা হয়, হয় পরিচয় এবং প্রেম। নিরবে চলে দেখাশুনা, চিঠি আদান প্রদান। এ গ্রামে এক দেওয়ান ছিল, তার নাম ভাবনা, তার অত্যাচারে সুন্দরী মেয়েরা ঘরের বাইরে যেতে পারত না। বাঘরার মাধ্যমে জানতে পারে সোনাইয়ের কথা এবং মামার কাছে যায়। মামা প্রথমে সোনাইকে ভাবনার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয় না পরে মৃত্যুর ভয় দেখালে সে বলে দেয় নদীতে জল আনতে গেলে যেন সোনাইকে সে বজরায় তুলে নেয়। ভাবনা তাই করে। বজরা থেকে মেয়ে কান্না আসছে শুনে মাধব যেয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং দেখে সে মেয়ে তারই সোনাই। ঘরে নিয়ে আসে, বিয়ের আয়োজন করে। কিন্তু‘ দেওয়ান মাধবের বাবাকে ধরে নিয়ে যায়, তাই বাবাকে উদ্ধার করার জন্য মাধব যায় দেওয়ানের

কাছে। সোনাই এক বছর একা থাকে ঘরে। তারপর ফিরে আসে তার শ্বশুর, বলে সোনাই না গেলে মাধবকে ছেড়ে দেবে না। বাধ্য হয়ে সোনাই যায় মাধবকে ছাড়াতে। দেওয়ান মাধবকে ছেড়ে দিয়ে ঘরে এসে দেখে সোনাই বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে।
কাহিনী শেষ হয় মাধবের হাহাকারে, সে নদীর ঘাটে বসে সোনাইকে ডেকে চলে। কারো লালসার কারণে যে মানুষের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে তাই এ পালায় বোঝানো হয়েছে। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোকসানা আক্তার রুপসা, মো. জাহিদুল কবির লিটন, লিয়াকত আলী লাকী, রহিমা খাতুন নীলা, উম্মে মরিয়ম রুমা ও কিশোয়ার জাহান, সোহানুর রহমান সোহান, আজমেরী এলাহী নীতি, আব্দুল্লাহেল রাফি তালুকদার, শায়লা আহমেদ, এম এ মোমিন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়