বাম গণতান্ত্রিক জোটের হুঁশিয়ারি : দমন-পীড়ন করে গদি রক্ষা করা যাবে না

আগের সংবাদ

চার কারণে ভ্যাট আদায়ে বিপর্যয়

পরের সংবাদ

যমুনা সার কারখানায় ৪৮৬ শ্রমিক ছাঁটাই : প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) থেকে : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) ৪৮৬ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ।
ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ও পুনরায় কাজের সুযোগ দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকসহ স্থানীয়রা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কারখানা এলাকার প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
জেএফসিএল সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানের যমুনা সারকারখানায় ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দৈনিক হাজিরাভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করে। দরপত্র আহ্বান করে নির্বাচিত ঠিকাদারের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য এসব শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। সর্বশেষ সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপির প্রতিনিধি সাখাওয়াত আলম মুকুলের মালিকানাধীন মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ৪৮৬ জন শ্রমিক কর্মরত ছিল। তাদের মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে সব শ্রমিককে কারখানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ও পুনরায় নিয়োগের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রমিকরা কারখানা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। দুপুরে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন- মোফাজ্জল মেম্বার, আল মামুন, সাজ্জাদ হোসেন সাগর, মশিউর রহমান মোর্শেদ, নাজমুল হুদা বাবু, সাকিব হাসান, রুমান মিয়া ও শাহিন মিয়া প্রমুখ।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দাবি করেন, কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার নিয়োগ না দিয়ে নিজেরাই তাদের পছন্দমতো লোক নিয়োগের পাঁয়তারা করছে। শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক জানান, শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। বিক্ষোভ চলাকালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। বিষয়টির দ্রুত সমাধান না হলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, চুক্তিভিত্তিক ৪৮৬ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৯৩ জনের নিয়োগ বিধি মোতাবেক আগেই বাতিল হয়েছে। বাকি ২৯৩ জনের মেয়াদকাল গত ৩১ আগস্ট শেষ হয়। নতুন নিয়োগের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত করতে গত ১৮ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু দায়িত্বরত ঠিকাদার মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজ মামলা দায়ের করায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিত আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়