বাম গণতান্ত্রিক জোটের হুঁশিয়ারি : দমন-পীড়ন করে গদি রক্ষা করা যাবে না

আগের সংবাদ

চার কারণে ভ্যাট আদায়ে বিপর্যয়

পরের সংবাদ

পর্যটন খাতে ৪০০ কোটি ডলার আয়ের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র ৭১ দিন বাকি। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। বিশ্বকাপকে ঘিরে নানা আনুষ্ঠানিকতা ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে দেশটি। বিশ্বকাপ চলাকালে প্রায় ১ মিলিয়ন লোকের সমাগম হবে দেশটিতে। আর এতেই পর্যটন খাতে ৪০০ কোটি ডলার আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির। অ্যারাবিয়ান বিজনেসের খবর অনুযায়ী এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ চলাকালে ফুটবল অনুরাগী ও পর্যটকরা মধ্যপ্রাচ্যের আয়ের বিভিন্ন খাতে ব্যয় করবেন। এর মধ্যে আতিথেয়তা, খাদ্য ও পানীয়, ক্রীড়াসামগ্রী ও ফ্যাশন খাতের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য আয় করবে। রেডসিয়ার স্ট্র্যাটেজিক কনসালটিংয়ের দুবাই অফিসের বাজার গবেষণা অনুসারে, ৪০০ কোটি ডলার পর্যটন আয়ের সিংহভাগই পাবে কাতার। আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশই এ দেশটির হবে। তবে ওই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশেষ করে দুবাই পর্যটন আয়ের দ্বিতীয় সর্বাধিক সুবিধাভোগী হবে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে এর মধ্যেই ৪ হাজার ইলেকট্রিক বাস নামানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এছাড়া নতুন করে প্রস্তুত করা হচ্ছে বিলাশবহুল হোটেল। সবগুলোর প্রস্তুতিও প্রায় শেষ দিকে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। বিশ্বকাপ উপলক্ষে দেশটিতে নানা বিধিনিষেধ থাকলেও শিথিলযোগ্য করা হয়েছে কয়েকটি বিষয়কে। হোটেল ভাড়া, যাতায়ত ভাড়া সবকিছুই তুলনামূলক বেশি বলে মনে করছেন ফুটবল ভক্তরা। বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রেডসিয়ার জানায়, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বাদেও মধ্যপ্রাচ্যে ফুটবল বিশ্বকাপের কারণে আরো কয়েকটি দেশের পর্যটন আয়ের সুযোগ রয়েছে। কাতারের পার্শ্ববর্তী দেশ সৌদিআরব, ওমান ও কুয়েতও এ বিশ্বকাপ থেকে আয় করতে পারবে।
রেডসিয়ার স্ট্র্যাটেজি কনসালট্যান্টসের সিনিয়র এনগেজমেন্ট ম্যানেজার অক্ষয় জয়াপ্রকাসান জানান, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ২০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে দেশটি। ধারণা করা হচ্ছে দর্শকদের ব্যায়ের অধিকাংশই ডিজিটাল মাধ্যমে হবে। এছাড়া খাদ্য ও পানীয়, ভ্রমণ, বিনাদন ও ক্রীড়াসামগ্রী কিনতে দুই-তৃতীয়াংশ ব্যায় করবেন তারা। টিকটকের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার (মেনা) পরিষেবা খাতের মার্কেটিং অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ স্ট্র্যাটেজির প্রধান ইউসুফ গাদাল্লাহ বলেন, এ বিশ্বকাপ বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমাদের এ অঞ্চলে এবং শীতকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রথম বিশ্বকাপ এটি।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ডিজিটাল কনটেন্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রথম বিশ্বকাপও এটি। গত বিশ্বকাপের পর বিশ্বে বিশেষ করে খেলাধুলায় ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল সামগ্রী তৈরি হয়েছে। আমরা এ বিশ্বকাপে খেলা কভারেজ এবং হাইলাইটে সৃজনশীল বিনোদনমূলক সামগ্রী ব্যবহার করতে পারব বলে আশা করছি, যা বিশ্ব আগে কখনো দেখেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়