বাম গণতান্ত্রিক জোটের হুঁশিয়ারি : দমন-পীড়ন করে গদি রক্ষা করা যাবে না

আগের সংবাদ

চার কারণে ভ্যাট আদায়ে বিপর্যয়

পরের সংবাদ

দ্বিগুণ শেয়ারের পতনেও সূচক বাড়ল ১২ পয়েন্ট

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে তার দ্বিগুণের বেশি কমেছে। এরপরও দুই বাজারেই বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। মূলত বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় সূচকের এ ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকল পুঁজিবাজার। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবস ও তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়ে। এতে টানা ছয় কার্যদিবসের উত্থানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সাড়ে ৬ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার এবং দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দরপতন হয় পুঁজিবাজারে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আবার সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যায়। অবশ্য দুই কার্যদিবস দরপতনের পর গত মঙ্গলবার আবার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে পুঁজিবাজার। পরের কার্যদিবস গত বুধবার বাজারে সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আবার সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্টের ওপরে উঠে আসে। এ পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক প্রায় ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে এমন বড় উত্থান প্রবণতা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকেনি। বরং লেনদেনের সময় বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় হয়েছে দরপতনের তালিকা। অবশ্য এর মধ্যেও বড় মূলধনের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। ফলে প্রধান মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী থেকেই দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য পর্যালোচনায় আরো দেখা গেছে, দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৬০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। বাকি দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচক বাড়লেও ডিএসইতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান।
বাজারটিতে সব খাত মিলে ৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৮টির। ১১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৭৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২ হাজার ১৯৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩১৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ২৬৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ২৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪২টির এবং ৭৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়