বাম গণতান্ত্রিক জোটের হুঁশিয়ারি : দমন-পীড়ন করে গদি রক্ষা করা যাবে না

আগের সংবাদ

চার কারণে ভ্যাট আদায়ে বিপর্যয়

পরের সংবাদ

কঠোর মুদ্রানীতির প্রভাব : আন্তর্জাতিক পণ্যবাজারে নিম্নমুখিতা অব্যাহত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়াচ্ছে। কঠোর মুদ্রাসংকোচন নীতির কারণে অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগ বাড়ছে। এতে অব্যাহত নিম্নমুখিতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বৈশ্বিক পণ্যবাজার। গত সপ্তাহেও বিশ্ববাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বড় পরিসরে কমেছে। এদিকে অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি বাজারে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে চীনে আরোপিত করোনা-১৯-সংক্রান্ত লকডাউন।
গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে উৎপাদন শিল্পের দুর্বল পরিস্থিতির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, যা ডলারের মূল্যসূচককে ঠেলে ১১০ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে। ২০০২ সালের জুনের পর মূল্যসূচক সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। তার ওপর চীনে কোয়ারেন্টিন পরিস্থিতি এবং বাড়তে থাকা মন্দা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে।
আন্তর্জাতিক পণ্যবাজারে যেসব ফ্যাক্টর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডলার। বিশ্লেষকরা জানান, বিশ্বজুড়ে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। এতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে তা এরই মধ্যে মন্থর হয়ে যাওয়া অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দেবে।
ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্টে বাড়াতে পারে উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের রিয়েল এস্টেট খাতে বিপর্যয়ের কারণে চলতি বছর দেশটির অর্থনীতি ধসের মুখে পড়তে পারে।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে বৈশ্বিক পণ্যবাজারে ব্যাপক নিম্নমুখিতার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেছে ধাতব পণ্য। তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের দাম কমেছে ৭ শতাংশ। দস্তার দাম ১২ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। এছাড়া সিসার বাজারদর ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
ইউরোপে জ্বালানিসংক্রান্ত উদ্বেগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর মুদ্রানীতির বার্তা এবং চীনে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পদক্ষেপের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার চাহিদা ব্যাপকভাবে কমতে পারে। অন্যদিকে অব্যাহত নিম্নমুখী সরবরাহের কারণেও চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বৈশ্বিক তামা উত্তোলনের এক-চতুর্থাংশই আসে চিলি থেকে। গত জুলাইয়ে দেশটির উত্তোলন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
অন্যদিকে মূল্যবান ধাতুগুলোর দাম গত সপ্তাহে ৪ শতাংশ কমেছে। এর মধ্যে স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৫ এবং প্যালাডিয়ামের ৪ শতাংশ কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে রুপার দাম কমে দুই বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে। বর্তমানে প্রতি আউন্সের গড় মূল্য স্থির হয়েছে ১৭ ডলার ৫৬ সেন্টে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কম। প্লাটিনামের দাম ৩ শতাংশ কমে ৮২১ ডলার ৯৫ সেন্টে স্থির হয়েছে। এ ধাতুর দামও দুই বছরের সর্বনিম্নে অবস্থান করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়