কাগজ প্রতিবেদক : অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিএনপি সন্ত্রাসী বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন মানেই সন্ত্রাস সৃষ্টির উসকানি। রাজপথ দখলের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুলের অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিহিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এই চিরায়ত আচরণ দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে সর্বদা বাধাগ্রস্ত করছে। বৈশ্বিক সংকটে জনগণের পাশে না থেকে বিএনপি দেশ ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিরাজমান বৈশ্বিক সংকটকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দেশের গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের চক্রান্ত চালাচ্ছে বিএনপি।
এ সংকটকে পুঁজি করে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি আরো দেশবিরোধী-গণবিরোধী হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি বিএনপির অন্তর্নিহিত ফ্যাসিস্ট চরিত্র জনগণের সামনে ফুটে উঠছে। তারা যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে। আর সরকার পদত্যাগের জনবিচ্ছিন্ন দাবি করে যাচ্ছে। আমরা বিএনপিকে বরাবরের মতো আহ্বান জানাব, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের জনসমর্থন যাচাই করুন। সরকার এমন কোনো চাপে নেই যে নির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হলো নির্বাচন। তিনি বলেন, বিএনপি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে। আন্দোলনের নামে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরাবরের মতো জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ‘সরকার বিরোধী দল দমন করছে’ এমন অভিযোগের আড়ালে বিএনপি নিজেদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দেশের যেসব জায়গায় তারা সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী মতো দমনে বিশ্বাস করে না। আমরা মনে করি, রাজনীতি ও ক্ষমতার একমাত্র উৎস হলো দেশের জনগণ। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা সরকারের অপরিহার্য কর্তব্য। বিএনপিকে ‘সন্ত্রাস নির্ভরতা’ ছেড়ে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে কাউকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনমনে ভীতি সঞ্চার ও ক্ষতিকর কার্যকলাপ করতে দেয়া হবে না। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বৈশ্বিক সংকট বুঝতে অক্ষম হলেও জনগণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজেদের মতো করে সাশ্রয়ী-সংযমী হচ্ছে।