গাজীপুরে সালনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ব্যবসায়ীদের দাবি : দাম বাড়িয়েও পোষাচ্ছে না

পরের সংবাদ

রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ : চার বছরেও সংস্কার হয়নি ২২ কিমি সড়ক, জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আবু বকর সিদ্দিক, নওগাঁ থেকে : নওগাঁর রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ ২২ কিলোমিটার বেহাল সড়কটি দীর্ঘ চার বছরেও সংস্কার হয়নি। তুলে ফেলে রাখা হয়েছে কার্পেটিং। দিন দিন ছোট-বড় গর্ত আর ধুলাবালিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলে সড়কে গর্তে পানি জমে যায়। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অবহেলায় সড়কটি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় বেহাল সড়কটি যেন রাণীনগর উপজেলাসহ আশপাশের এলাকার লাখ লাখ মানুষের চলাচলে গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, সড়কটির সংস্কার কাজের জন্য আবার নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
সূত্রে জানা যায়, রাণীনগর উপজেলা সদরের বাসট্যাণ্ড গোলচত্বর থেকে আবাদপুকুর হয়ে কালীগঞ্জ পর্যন্ত মোট ২২ কিলোমিটার সড়কে যানবাহন চলাচলে চাপ বাড়লে এবং এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে এলজিইডি থেকে সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সড়কটি রাণীনগর-আবাদপুকুর থেকে কালীগঞ্জ হয়ে নাটোরের সিংড়ার ঢাকা-রাজশাহী মহা সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। সড়কজুড়ে ২৬টি কালভার্ট ও ৪টি ব্রিজ পূর্ণ নির্মাণ এবং সড়কটি টিকসই, মজবুত ও প্রশস্ত করে পাকাকরণের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে টেন্ডার দেয়া হয়। এতে এক্সপেক্ট্রা ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট ভেঞ্চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের কাজ ও কালভার্ট নির্মাণের টেন্ডার পান। দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার সড়ক, ২৬টি কালভার্ট ও ৪টি সেতু নির্মাণের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয় ১০৫ কোটি টাকা। এরপর সড়কের সমস্ত কার্পেটিং তুলে রাস্তায় রোলার দিয়ে কিছু জায়গায় পাথর ফেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কয়েকটি কালভার্ট ও ব্রিজ ভেঙে সেগুলো নির্মাণ করে কাজ বন্ধ করে দেয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করেন। অতিরিক্ত সময়েও কাজ শেষ করতে না পাড়ায় গত বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কটির সংস্কার কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিলসহ ৫ কোটি টাকা জরিমানা করে আবার নতুন করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করেন। এরই মধ্যে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর বন্ধ হয়ে যায় সড়কটির কাজ। উচ্চ আদালত গত বছরের ২৯ নভেম্বর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সরকারের) পক্ষে রায় দেন। এরপরেও সড়কটির কাজ আর শুরু করা হয়নি।
তএ বিষয়ে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন, সকল জটিলতা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সড়কটির সংস্কার কাজের জন্য নতুন করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এম এ জাহেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই সড়কের কাজ শুরু হবে এবং জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়