গাজীপুরে সালনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ব্যবসায়ীদের দাবি : দাম বাড়িয়েও পোষাচ্ছে না

পরের সংবাদ

মিরপুরে বাউন্সি উইকেট বানাচ্ছে বিসিবি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুই দেশের উইকেটই পেস ও ব্যাটিং বান্ধব। এই দুই প্রতিযোগিতার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্ততির কথা মাথায় রেখে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো বাউন্সি উইকেট বানাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
উইকেট প্রসঙ্গে গতকাল ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস বলেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের কাছে দুই-তিনটা কংক্রিট উইকেটের প্রস্তাব ছিল। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা বিভিন্ন দেশে যখন বৃষ্টির মৌসুম থাকে, তখন তারা কংক্রিটের উইকেটে অনুশীলন করে। কংক্রিটের উইকেট বানানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ৫০ শতাংশ ম্যাচ দেশে খেলি, আর ৫০ শতাংশ দেশের বাইরে। দেশের বাইরে আমরা দেখি, বেশিরভাগ উইকেটে পেস ও বাউন্স থাকে। তো ওই পেস, বাউন্সটা রেপ্লিকেট করার জন্যই এই কংক্রিট উইকেট তৈরি করা। এখানে বল স্কিড করবে, বাউন্স করবে। ব্যাটারদের যেমন অনুশীলন হবে, তেমনি বোলারদেরও ওই ধরনের উইকেটের জন্য অনুশীলনের সুযোগ হবে। তিনি আরো যোগ করেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আরব আমিরাতেও আমরা দেখেছি উইকেট ফ্লাট থাকে। বল সুন্দর ব্যাটে আসে, সুতরাং এটা ওটাকে রেপ্লিকেট করবে। পরবর্তী সময়ে দুটো অ্যাস্ট্রোটার্ফ উইকেট করারও পরিকল্পনা আছে, যেটা ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মতো দেশে দেখা যায়। একাডেমি মাঠের পূর্ব পাশে কংক্রিটের উইকেট তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে বিসিবির গ্রাউন্স কমিটি। বর্তমানে দুটি উইকেটের কাজ চলমান।
মন্থর উইকেটের কারণে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটের বেশ দুর্নাম আছে। এই উইকেট টি- টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত। যেখানে রানের জন্য রীতিমতো সংগ্রাম যখন করতে হয় ব্যাটারদের। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলোর উইকেট পেস ও ব্যাটিং বান্ধব। মিরপুরের মন্থর পিচে খেলে অভ্যস্ত হওয়ার পর যখন দেশের বাইরে খেলা হয়, তখন বাউন্স আর পেসে ধরাশায়ী হয় টাইগার ব্যাটাররা। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে খেলতে গিয়ে নিয়মিত বিপদে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এসব দেশের উইকেটে মানিয়ে নিতে পারছেন না ব্যাটাররা। এছাড়া ব্যাটিং আর বোলিং ব্যর্থতায় এশিয়া কাপ থেকে খালি হাতে ফিরেছে বাংলাদেশ। এসব কারণেই ঘরের মাঠে নিজেদের কন্ডিশনে বিদেশের বাউন্সি উইকেটের অনুশীলন সারতে চায় টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। এমন উইকেট তৈরি হলে বোলাররা পেস, বাউন্স সঠিকভাবে পাবে।
এদিকে উন্নত ট্রেনিংয়ের জন্য ভারত-অস্ট্রেলিয়াতে ১২ ক্রিকেটারকে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। গতকাল এই তথ্য নিশ্চিত করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা পাঁচজনকে পাঠাচ্ছি অস্ট্রেলিয়াতে, সাতজনকে ভারতের রাহুল দ্রাবিড় একাডেমিতে। এদের মধ্যেও অদল-বদল করবো। অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাটসম্যান পাঠাবো দুজন।
পেসার তিনজন। ভারতে তরুণ লেগ স্পিনার যারা আছে তাদেরকেও পাঠানো হচ্ছে। রিশাদও যাবে সেখানে। অফস্পিনার নাঈমকেও পাঠাব। তাকে তো সবাই ভালো বলছে। তাই ওকে আরেকটু ট্রেনিংয়ে পাঠাচ্ছি। প্লাস টেস্ট ব্যাটসম্যানের জন্য ভারতে কয়েকজনকে পাঠাচ্ছি। সব মিলিয়ে তিনজন ব্যাটসম্যান, চারজন বোলার থাকবে। একজন আবার অলরাউন্ডার। তিনি যোগ করেন, দেড় মাসের ট্রেনিং। তারপর অস্ট্রেলিয়ায় যারা গিয়েছিল তারা ভারতে যাবে। ভারতের ক্রিকেটাররা অস্ট্রেলিয়াতে। এরকম করে ছয়-সাত মাসের ট্রেনিং হলে আমরা ওদের স্পেশাল কেয়ার দিয়ে আস্তে আস্তে খেলানো শুরু করবো। সবাই বলে আমাদের ভালো প্রতিভা আছে। খালি একটু ফাইন টিউনিং দরকার। ওই ফাইন টিউনিংটাই করতে হবে। ওদেরকে কোচিং করিয়ে নিয়ে এসে অল্প অল্প করে সুযোগ দিয়ে দেখব কী হয়। ওদেরকে হঠাৎ করে নামিয়ে দেব না। আমরা আবার দ্রুত ওদের মাঠে নামিয়ে দেই। এটা কি সম্ভব নাকি যে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলছে বলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্বমানের বোলারের বিপক্ষে ভালো করবে। আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
এছাড়া ক্রিকেটারদের পুর্নবাসনের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে ঢাকায় রিহ্যাব সেন্টার তৈরি করার কথা জানিয়েছেন পাপন। ক্রিকেটারদের দ্রুত উন্নত সেবা নিশ্চিত করা এবং দেশের বাইরে না পাঠিয়ে সময় ও অর্থ বাঁচানো-মূলত এই দুই কারণে রিহ্যাব সেন্টার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের ক্রিকেটারদের ইনজুরি হয়। ইনজুরি হলেই আমাদের খেলোয়াড়দের ৪-৬ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হয়। সেখান থেকে আসার পর তার পুর্নবাসন প্রক্রিয়া চলে। সেখানেও এক মাস চলে বা কাছাকাছি এরকম। যখন এগুলোতে কাজ হয় না তখন বিদেশে পাঠানো লাগে। তারপর বলা হয় ওর অস্ত্রোপচার লাগবে, এই লাগবে বা সেই লাগবে। তাই আমরা ঢাকায় স্থায়ীভাবে একটা রিহ্যাব সেন্টার করতে চাচ্ছি। দেশি এবং বিদেশি সব বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। বিসিবির মেডিকেল বিভাগ এটা পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করবে। ওখানে সারাবছর ইনজুরি নিয়ে কাজ করবে। কোনো ছুটি নেই। এক ছাদের নিচে সব ব্যবস্থা থাকবে, যেন কোথাও ছোটাছুটি করতে না হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়