গাজীপুরে সালনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ব্যবসায়ীদের দাবি : দাম বাড়িয়েও পোষাচ্ছে না

পরের সংবাদ

মালদ্বীপকে হারিয়ে শুরু করতে মরিয়া সাবিনারা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নেপালের কাঠমান্ডুতে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্ট গতকাল শুরু হয়েছে। আজ নিজদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ সাবিনা। এই ম্যাচে জয়ের জন্য দুদলের মধ্যে বেশ লড়াই হবে। বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৫টায় নেপালের কাঠমন্ডুর দশরত স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের বিপক্ষে লড়াই করবে সাবিনা খাতুনরা। এই ম্যাচে ভালো খেলার লক্ষ্যে গতকাল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সকাল ১০টায় কাঠমন্ডুর আর্মি হেডকোয়াটার মাঠে অনুশীলন করে। তারা কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে বল নিয়ে লং শট থেকে গোল করার চেষ্টা করেন। এরপর মারিয়া মান্ডা-সাজেদা খাতুনরা হোটেলে গিয়ে বিশ্রাম শেষে সুইমিং করে।
এছাড়া নিজদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে জিততে মরিয়া লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে অধিনায়ক সাবিনার আগেও সাফে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি ২০১৪ সালের সাফে সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে সাবিনার ২২ গোলের ১৬টিই সাফে। এবারের টুর্নামেন্টে কোচের মতো তিনিও চোখ রাখছেন ফাইনালে। এ বিষয় তিনি বলেন, সাফ আমাদের জন্য বড় টুর্নামেন্ট। আমরা আশাবাদী। যেহেতু আমরা বড় একটা টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছি, দেশবাসীর কাছে আমার চাওয়া যে, আমাদের জন্য দোয়া করবেন। যেন আমরা ভালো ফল নিয়ে ফিরতে পারি। আমরা ফাইনাল খেলতে চাই। স্ট্রাইকার হিসেবে সবসময় আমার গোলের ক্ষুদা থাকে। আমি চেষ্টা করব আমার জন্য এবং দেশের জন্য সর্বোচ্চটুকু দিয়ে খেলার।
এদিকে এবার ষষ্ঠ আসরে শুরু থেকেই ভালো খেলতে চায় গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। বাংলাদেশের মেয়েরা মালদ্বীপের বিপক্ষে এর আগেও বেশ দাপটে খেলে জিতেছে। এর আগে পাঁচটি সাফে দুইবারের মুখোমুখিতে বাংলাদেশের মেয়েদের জয় শতভাগ। ২০১৪ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপপর্বে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। সেই ম্যাচে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা জিতেছিল ৩-১ গোলে। এমনকি ওই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা। আর অন্য গোলটি ছিল মায়নুম রানার। তাছাড়া ২০১৬ সালে ভারতের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি হয়েছিল ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে। ওই ম্যাচে মালদ্বীপকে উড়িয়ে দিয়েছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। সাবিনারা জিতেছিল ৬-০ গোলে। এ ম্যাচে হ্যাটট্রিক ছিল সিরাত জাহান স্বপ্নার। জোড়া গোল করেছিলেন সাবিনা ও একটি গোল করেন নার্গিস খাতুন। তাছাড়া ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থান ১৪৬ ও মালদ্বীপ ১৫৩। তবে সাবিনা-মারিয়ারা প্রতিপক্ষের মেয়েদের চেয়ে শক্তিতে বেশ এগিয়ে। লাল-সবুজের নারী ফুটবলাররা বয়সভিত্তিক পর্যায়ে এশিয়ার মঞ্চে কয়েকবার শিরোপা জিতলেও জাতীয় দল শুধু ফাইনালেই সীমাবদ্ধ আছে। এর আগে ২০১৯ সালে সবশেষ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছে বাংলাদেশ। নেপালের বিরাটনগরের সেই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল সাবিনাদের। এবার পুরোনো সব ভুলে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ে শুরু করতে চায় গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। গতকাল অনুশীলন শেষে তিনি বলেন, আশা করি এই টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মেয়েরা খেলবে। দলের টেকনিক্যাল ও ফিটনেস লেভেল বেশ ভালো। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলে এগিয়ে যাওয়া। আমরা ফাইনালে পৌঁছতে চাই। আগের থেকে মেয়েদের আরো বেশি অভিজ্ঞ এবং পরিপক্ব হয়েছে। সব দিক থেকেই তারা উন্নতি করেছে। সেমিতে খেলতে হলে প্রথম দুই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। মালদ্বীপ-পাকিস্তানের ম্যাচে আমরা আপাতত মনোযোগ দিচ্ছি। সেমিফাইনাল নিয়ে তো আমাদের পরিকল্পনা আছেই, সেটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করব।
এবার সাফে ৭টি দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। আর গ্রুপ ‘বি’ রয়েছে নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা। এই দুই গ্রুপের ৪টি দল সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। গ্রুপ এ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে দুই দল এবং গ্রুপ বি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে দুই দল এই মোট চারটি দল সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। সেমিফাইনালে গ্রুপ এ চ্যাম্পিয়ন ও গ্রুপ বি রানার্স আপ দল সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলবে। আর গ্রুপ এ রানার্স আপ এবং গ্রুপ বি চ্যাম্পিয়ন দল সেমিফাইনালে খেলবে। ফাইনাল ম্যাচ ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তবে তার আগে বাংলাদেশ ১০ জুন নিজদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করবে। ১৩ জুন তৃতীয় ম্যাচ ফেবারিট ভারতের বিপক্ষে।
এদিকে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ পুরুষ দল একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৯ বছর আগে। তবে সাফ নারী ফুটবলে বাংলাদেশ কখনো চ্যাম্পিয়নই হতে পারেনি। এমনকি আগের ৫ আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারত এবারো এগিয়ে। তাই আজ শুরুটা ভালো করতে পারে বাংলাদেশ রানার্সআপ হওয়া চেষ্টা করে দেখতে পারে।
কিন্তু রানার্সআপ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে নেপাল, যারা গত ৫ বারের ৪ বারই রানার্সআপ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়