গাজীপুরে সালনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ব্যবসায়ীদের দাবি : দাম বাড়িয়েও পোষাচ্ছে না

পরের সংবাদ

বিমান প্রতিমন্ত্রী : পাইলট নিয়োগে অনিয়ম হয়ে থাকলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট নিয়োগে অনিয়ম হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজেন্সির মাধ্যমে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও তদন্ত করেছি। বিমানের নিজস্ব তদন্তও হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়েকজন বর্তমানে সিমুলেটিং প্রশিক্ষণে আছেন। তারা ট্রেনিং শেষে ফিরে আসার পর রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তাদের চাকরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এটাই সবশেষ তথ্য আছে আমার কাছে। পারফরম্যান্স ট্রেনিংয়ের পর তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যারা প্রাথমিকভাবে তাদের সিলেক্ট করেছিল, অভিযোগ সত্য হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের হাতে তদন্ত রিপোর্ট আছে।
তিনি বলেন, পাইলট নিয়োগের অনিয়মের বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসেছে। সম্ভবত ৯ জনকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন বাদ পড়েছে বা জয়েন করেনি।
বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তদন্ত দাবি করে গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ পাইলট এসোসিয়েশন (বাপা) বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে একটি চিঠি পাঠায়। বাপা নির্বাহী কমিটির পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়, পাইলট নিয়োগের ক্ষেত্রে বিমানের অপারেশনাল নির্দেশনা (ম্যানুয়াল), বাপার সঙ্গে বিমানের চুক্তি চরমভাবে লঙ্ঘন হয়েছে। এসব নিয়ে বাপা প্রশ্ন তুললেও তা আমলে নেয়া হয়নি। নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া ওই ফ্লাইট অফিসাররা নিয়মিত ফ্লাইট অফিসার হিসেবে ফ্লাই করতে পারবেন না, যতক্ষণ না তারা ৩০০ ঘণ্টা ফ্লাই করছেন। এসব ফ্লাইট অফিসারের জন্য এখন বিমান বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
বিমানের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা প্রশিক্ষণ বিভাগের (সিওটি) প্রধানের স্ত্রী পাইলট হিসেবে নিয়োগ পেতে যে আবেদন করেছেন তাকে স্বার্থের দ্ব›দ্ব বলেও দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিতে। ফ্লাইট অফিসার পদে একজন এয়ারলাইনস ট্রান্সপোর্ট পাইলট তার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ভূয়া সনদ দেখিয়েছেন। তিনি তার বাধ্যতামূলক সিমুলেটর প্রশিক্ষণে অংশ নেননি। পরবর্তী সময়ে তাকে বিমান নিজ খরচে প্রশিক্ষণে পাঠায়, যা অপচয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়