গাজীপুরে সালনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ব্যবসায়ীদের দাবি : দাম বাড়িয়েও পোষাচ্ছে না

পরের সংবাদ

ফরিদপুরে পেঁয়াজ সংরক্ষণে সাড়া ফেলেছে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিভাষ দত্ত, ফরিদপুর থেকে : প্রতি বছর দেশে ৩৫-৩৬ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে পেঁয়াজ দেশেই উৎপাদন হয় প্রায় ৩২-৩৩ লাখ টন। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের এক-চতুর্থাংশই পচে বা নষ্ট হয়ে যায়। এতে ঘাটতি মেটাতে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে। অন্যদিকে ক্ষেতের ফসল পানির দরে বিক্রি করে দিতে হয় কৃষককে। পেঁয়াজের এই সংকট মোকাবিলায় আশার আলো জুগিয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সমন্বিত পানি সম্পদ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-দ্বিতীয় পর্যায়ের পরামর্শক দলের উদ্ভাবিত ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’। কৃষকের কাছে যা ইতোমধ্যে পেঁয়াজের এসি হিসেবে বেশ সমাদৃত হয়েছে।
ফরিদপুরের সালথা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বেশকিছু চাষিকে এভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে দেখা গেছে। একটি ছাদযুক্ত টিনের কিংবা ইটের ঘরের মেঝেতে ইট দিয়ে মাচা তৈরির পর মাদুর বা বানা দিয়ে ঢেকে তার মধ্যে এই যন্ত্রটি স্থাপন করে তারা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করছেন। একশ বর্গফুটজুড়ে তৈরি এমন একটি স্থানে প্রায় তিনশ মণ পেঁয়াজ তারা রাখছেন বছরের ৮-৯ মাসজুড়ে। এতে তাদের মাসে ৫০০-৬০০ টাকার বিদ্যুৎ খরচের বাইরে আর কোনো অতিরিক্ত ব্যয় নেই। সাধারণ বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠার পরই দাম কমতে থাকে। এজন্য কিছুদিন সংরক্ষণ না করতে পারলে পেঁয়াজ চাষির লাভ মিলে না। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতিতে বাঁশের মাচা বা চাঙে পেঁয়াজ সংরক্ষণে অধিক তাপমাত্রায় ঘেমে যাওয়া, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পে পচন ধরা ও রং নষ্ট হওয়াসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতেন তারা। এ অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়িত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সমন্বিত পানি সম্পদ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-দ্বিতীয় পর্যায়ের পরামর্শক দলের ভ্যালু চেইন বিশেষজ্ঞরা ‘বায়ু প্রবাহ যন্ত্রের মাধ্যমে পেঁয়াজ সংরক্ষণ’ প্রযুক্তির এই এয়ার ফ্লো মেশিন দিয়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসএমও স্পেশালাইজড ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ তোফায়েল চৌধুরী বলেন, পেঁয়াজ সংরক্ষণের এই প্রযুক্তিটি প্রথম বছরেই অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। বছরের ৮ মাস এভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায়। এর মাধ্যমে সংরক্ষিত পেঁয়াজের ওজন হ্রাস শতকরা ৩০ শতাংশ এবং পচন প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে আনা সম্ভব। এর ফলে আমরা নিজস্ব উৎপাদন দিয়েই পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে পারব এবং আমদানির বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়