গাজীপুরে সালনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ব্যবসায়ীদের দাবি : দাম বাড়িয়েও পোষাচ্ছে না

পরের সংবাদ

ডিজেএফবির উন্নয়ন সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী : মূল্যস্ফীতি কমবে অক্টোবর থেকে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে ২০ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে, আমন চলে আসবে। আইএমএফ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাব। সবমিলিয়ে অক্টোবর থেকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়বে। আগস্ট মাসের তথ্য হাতে এসেছে। সরকারপ্রধান দেশের বাইরে আছেন। ওনাকে দেখানোর পর আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতি প্রকাশ করবো।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে উন্নয়ন সাংবাদিকদের সংগঠন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) উন্নয়ন সংলাপে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামান মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাঈদ শাহীনের সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি।
অনুষ্ঠানে এম এ মান্নান বলেন, গত ১০ বছরে দেশে উন্নয়ন বেশি হওয়ায় খরচও হয়েছে বেশি, আমলে নেয়া হয়নি অনেক কিছু। করোনা ভাইরাস ও বহির্বিশ্বে মোড়লদের কোন্দলের কারণে দেশের অর্থনীতি কিছুটা বিপাকে থাকলেও আগামী অক্টোবরের মধ্যে স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জ¦ালানি তেলের মূল্য আগস্টে বাড়ানো হয়েছে, তাতে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বর্তমান অবস্থায় সবার কৃচ্ছ্রতাসাধন হওয়া দরকার। অর্থনীতির কাজই হচ্ছে মাপ-জোঁক করে করতে হবে। বিগত ১০ বছরে নতুন প্রাপ্তি ছিল বেশি। বৈশ্বিক কারণেই এই সংকট হয়েছে।
খাদের শেষপ্রান্তে যেয়ে সরকার প্রধান লাগাম ধরেছেন। এতে করে আমরা অনেক কিছু থেকে বেঁচে গেছি। আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল ও সেপ্টেম্বরেও বাড়তি ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে জিডিপি সাড়ে ৭ শতাংশ বা সাড়ে ৬ শতাংশ হয়ে দাঁড়াবে। এই মাসে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে অক্টোবরে অনেক কমে আসবে মূল্যস্ফীতি। আশা করি মূল্যস্ফীতি কমবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা শ্রমভিত্তিক অর্থনীতির দেশ। দেশ থেকে অর্থ বিদেশ যাচ্ছে আবা বিদেশ থেকেও দেশে আসছে। খাদ্য রিজার্ভ আছে। আমনটা চলে আসবে। চালের দাম কমে আসছে। শিক্ষা, অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও কৃষিতে প্রধান্য দেয়া হয়। আমরা এখানে অবকাঠামো ও শিক্ষা। তবে অবকাঠামোতে বিদ্যুৎ, চতুর্থ খাদ্য ও স্বাস্থ্য। আইএমএফের দায়-দায়িত্ব আমাদের জন্যও রয়েছে। কোনো সদস্য বিপদে পড়লে তারা ঋণ, উপদেশ, সহযোগিতা দেবে। কোনো রাষ্ট্র খাদে পড়ে গেলে সেখান থেকে তুলে আনার দায়িত্ব আইএমএফের। এখন আমাদের প্রয়োজন বেশি। সেক্ষেত্রে ঋণ চাইতে হবে। আমাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে মহাজনের মতো নয়। আইএমএফের ঋণ পেয়ে যাব। সামাজিক স্থিতিশীল নিশ্চিত করা না গেলে কেউ কাজ করতে পারবে না। দারিদ্র্যের হার ২০ আশপাশে রয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দুর্নীতি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই হয়, তবে আমাদের এখানে বেশি দৃশ্যমান। আমরা চেষ্টা করি দুর্নীতি কমিয়ে রাখতে। দারিদ্র্যতাও দুর্নীতির অন্যতম কারণ। অনেক কাজে প্রকল্প পরিচালকের এখানে-সেখানে হয়ত কিছু এদিক-সেদিক হয়ে যায়। আমরা এখন যে বড় প্রকল্প নিয়েছি তা আমাদের পূর্বপুরুষরাও করেনি বা চিন্তাও করেনি। তবে দুর্নীতিবন্ধে প্রকল্প পরিচালকরা বসে থেকে কাজ করাবে। একজনকে একাধিক প্রকল্প না দেয়া হয়। তবে আমাদের এই চাওয়া পূরণ হয়নি। ক্রয় ও কাজে আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। আইন প্রয়োগে কঠিন হতেই হবে।
উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে করা প্রতিবেদন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আসছে প্রকল্পের সমালোচনা আমাদের উপকারে আসে। তবে পরবর্তীতে সমালোচনা হলে সেটি সংস্কার করা সম্ভব হয় না। এসব সমালোচনা কাজের জন্য খুবই উপকারে আসে। প্রকল্পে কৃচ্ছতা সাধন নিয়ে বলেন, আমাদের অনেক প্রকল্পের রিভিউ করতে হতে পারে। জ¦ালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় সমন্বয় করতে হবে। অর্থাৎ একটি কাজের টাকা দিয়ে আরেকটি কাজ করতে হবে। বঙ্গীয় সাংস্কৃতিতে গ্রাম ছিল প্রধান অথচ এটিকে সবসময় অবহেলা ও বাদ রাখা হয়েছিল।
একমাত্র শেখ হাসিনাই গ্রামকে উন্নয়নে নতুন প্রকল্প নিয়েছেন। ৫০ বছর পর সব এক বাঙালি পরিবার হয়ে যাবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকলেও সেটি ছাপিয়ে উঠতে চাচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে। আগেরটি বাদ দিয়ে নয় বরং সেগুলোকে সমন্বিত করে কাজ চলছে। অনেক কাজে হয়ত নীরবতা পালন করতে হয় বলে তিনি জানান। কেননা পরিবারের সদস্য আমি। এক্ষেত্রে আমরা এমন কোনো কাজ করতে চাই না। যাতে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়