গাজীপুরে সালনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ব্যবসায়ীদের দাবি : দাম বাড়িয়েও পোষাচ্ছে না

পরের সংবাদ

চীনে ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ৬৫, এখনো আটকা শত শত মানুষ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গত সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয় বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর আটকা পড়া শত শত মানুষকে উদ্ধার, বিদ্যুৎ, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং জরুরি ত্রাণ পাঠানোর জন্য মঙ্গলবার উদ্ধারকারীরা ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভূমিকম্পের সময় জখম হওয়া প্রায় আড়াই মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, এদের মধ্যে অনেকের আঘাতই গুরুতর। দুর্যোগ কবলিত এলাকায় আটকা পড়া দুই শতাধিক মানুষকে সরিয়ে আনতে উদ্ধারকারীরা কাজ করছেন। পাশাপাশি তারা টেলিযোগাযোগ সেবা, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনে কাজ করার পাশাপাশি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের খাবারের জোগান দিচ্ছেন। এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে টেলিযোগাযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আর পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসের সৃষ্টি হয়, এতে ‘গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি’ হয়।
সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী শহর চাংদুতে কোভিড-১৯ জনিত লকডাউন চলার মধ্যেই ভূমিকম্পটি হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর শুক্রবার থেকে চাংদুর ২ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দাকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র চাংদু থেকে প্রায় ২২৬ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চল লুদিংয়ে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ইয়ান শহরে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রতিবেশী গানসি প্রিফেকচারে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে সিসিটিভির খবরে বলা হয়, ‘আরো ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং ৫০ জন আহত হয়েছে।’
গতকাল মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রায় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিমবাহ, সবুজ বন ও সুউচ্চ শিখরগুলোর জন্য পরিচিত জনপ্রিয় পর্যটন শহর হাইলুগোতে এখনো দুই শতাধিক মানুষ আটকা পড়ে আছেন। তাদের কাছে পৌঁছতে ভূমি ধসে বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়কগুলো ফের চালু করতে উদ্ধারকারীরা কাজ করছেন।
২০০৮ সালে সিচুয়ানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়েনচুয়ান কাউন্টিতে ৮ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ৭০ হাজার মানুষ নিহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়