গাজীপুরে সালনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ব্যবসায়ীদের দাবি : দাম বাড়িয়েও পোষাচ্ছে না

পরের সংবাদ

ক্রিটিকেল কেয়ার ইউনিট চালু হচ্ছে সরকারি ২ হাসপাতালে : বাঁচবে অসংখ্য মানুষের প্রাণ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে জরুরি বিভাগ থাকলেও সেখানে নেই ক্রিটিকেল কেয়ার ইউনিট। অথচ এই বিভাগ থাকলে অসংখ্য রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই ইউনিটে থাকে রোগীর যাবতীয় শারীরিক সংকটের মোকাবিলার জন্য নানা জীবনদায়ী ব্যবস্থা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় থাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স ছাড়াও প্রশিক্ষিত প্যারামেডিক্যাল স্টাফও। যারা রোগীর ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখেন। দরকার হলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে সামাল দেন। তাই সংকটাপন্ন রোগীর জীবন বাঁচাতে ক্রিটিকেল কেয়ার ইউনিট চালুর জোর দাবি তাদের।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট আয়োজিত ‘অত্যাবশ্যকীয় জরুরি ক্রিটিক্যাল কেয়ার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এই দাবি জানান। এতে সহযোগিতা করেছে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংগঠন হেলথ ইকোনোমিক্স স্টাডি অ্যালায়েন্স এবং ইউনিভার্সাল রিসার্চ কেয়ার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বক্তব্য রাখেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ডা. মো. এনামুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অসংক্রামক ও সংক্রামক রোগ বিভাগ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির জানান, ক্রিটিকেল কেয়ার ইউনিটের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নতুন করে আর বলার কিছু নাই। বরং আমি বলবো, আমরা অনেক দেরি করে ফেলেছি। তবে দুটি সরকারি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি মডেল চালু করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যেই এর কার্যক্রম শুরু হবে। এই ব্যবস্থা চালু করে রোগীকে আর এখানে ওখানে দৌড়াতে হবে না।

রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসক রোগীর কাছে যাবেন।
বক্তারা বলেন, হাসপাতালগুলোতে ক্রিটিকেল কেয়ার ইউনিট চালু করার পাশাপাশি জরুরি এই সেবা সম্পর্কে জনসাধারণের সম্যক ধারণা থাকাটাও জরুরি। হাসপাতালে নেয়ায় আগেই যদি রোগীকে জরুরি এই সেবা দেয়া সম্ভব হয় তাহলে অনেকের জীবন রক্ষা পাবে। এর জন্য অনেক জ্ঞান ও ডায়গনসিস না জানলেও হবে। সাধারণ জ্ঞান আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বুঝে প্রাথমিক সেবা দেয়াটা জরুরি। এজন্য পাঠ পুস্তকে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়