গাজীপুরে সালনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ব্যবসায়ীদের দাবি : দাম বাড়িয়েও পোষাচ্ছে না

পরের সংবাদ

ঈশ্বরদী উপকেন্দ্রে ত্রুটি, ৪ বিভাগে বিদ্যুৎ বিভ্রাট : দেড় ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঈশ্বরদী ২৩০/১৩২ উপকেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। এর ফলে গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ দেশের বেশ কিছু এলাকা প্রায় ৪০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিল। পরে পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, পাওয়ার গ্রিড ট্রিপ করার কারণ অনুসন্ধানে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রধান প্রকৌশলী (সিস্টেম অপারেশন) বি এম মিজানুল হাসানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ২ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পিজিসিবি মুখপাত্র এবিএম বদরুদ্দোজা সুমন জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪ মিনিটে ঈশ্বরদী ২৩০/১৩২ উপকেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে সঞ্চালন লাইন ‘ট্রিপ’ করলে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী জোন এবং বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে মেরামতের কাজ শুরু হয়। এরপর একে একে যান্ত্রিক ত্রæটি মেরামতের সঙ্গে সঙ্গে কোথাও ৪০ মিনিট পর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। ৯টা ৪০ মিনিটে রাজশাহীতে, ১০টা ১০ মিনিটে খুলনায় এবং ১০টা ৩০ মিনিটে বরিশালে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজহারুল ইসলাম জানান, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং বৃহত্তর ফরিদপুরে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে ওজোপাডিকো। গ্রিড লাইন ‘ট্রিপ’ করার পর এইসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পুরো এলাকা বেশ কিছুক্ষণ বিদ্যুৎহীন ছিল। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। হঠাৎ করে অনেক বড় এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিলেও এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক।
এদিকে ওজোপাডিকোর এক কর্মকর্তা জানান, সঞ্চালন লাইন ট্রিপ করার পর ওজোপাডিকোর অধীন পুরো এলাকা ঘণ্টাখানেক বিদ্যুৎহীন ছিল। প্রায় ১ ঘণ্টা পর এলাকায় বিদ্যুৎ চলে আসে।
এদিকে গ্রিড ট্রিপ করার কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল। প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা জানান, ঠিক ৯টা ৪ মিনিটে আমরা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করতে বাধ্য হই। সঞ্চালন লাইন ট্রিপ করলে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এতে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।
নেসকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, নেসকো পাওয়ার গ্রিড থেকে পাওয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। জাতীয় গ্রিডের সমস্যার কারণে নেসকোর সরবরাহ ব্যাহত হয়। তবে ১ ঘণ্টা পরেই সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়