গাজীপুরে সালনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ব্যবসায়ীদের দাবি : দাম বাড়িয়েও পোষাচ্ছে না

পরের সংবাদ

অর্জনের ঝুড়িতে জমা হয়েছে জাতীয় পুরস্কার : কৃষি ও খামারে সাফল্য ধরে রেখেছেন কুলাউড়ার আশীষ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলার রাউতগাঁও ইউনিয়নের মৈষাজুরী গ্রামের বাসিন্দা আশীষ কুমার পাল কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগে অসামান্য সাফল্য রেখে চলেছেন। ইতোমধ্যে তিনি উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েই তিনি বৈষয়িক বিষয় দেখাশোনায় মনোনিবেশ করেন। পৈতৃক সম্পত্তিতেই শুরু করেন কৃষিকাজ। গড়ে তোলেন মৎস্য ও গবাদি পশুর খামার। এসব থেকে প্রতি বছর তিনি লাখ লাখ টাকা আয় করেন। সরজমিন রাউতগাঁওয়ে তার বাড়িতে গেলে দেখা যায় বিশাল গরু ও মৎস্য খামার এবং বায়োগ্যাস প্লান্ট। আলাপকালে তিনি বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর লেখাপড়া বাদ দিয়ে সম্পত্তি দেখাশোনা শুরু করেন। ব্যতিক্রমী কিছু করার ইচ্ছা থেকে তিনি মনোনিবেশ করেন পশু পালনে। ১৯৯১ সালে গড়ে তোলেন গরুর খামার। গরুর দুধ ও ষাঁড় বিক্রি করেই আয়ের শুরু। খামার করতে গিয়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শে গাভীর কৃত্রিম প্রজননের ওপর গ্রহণ করেন বিশেষ প্রশিক্ষণ। এরপর থেকে তিনি উপজেলার অর্ধশতাধিক খামারে কৃত্রিম প্রজননের ওপর কাজ করেন। একজন দক্ষ কারিগর হিসেবে গোটা উপজেলার খামারিদের কাছে এখন আশীষ কুমার পালের ব্যাপক কদর। আশীষ কুমার পাল আরো জানান, গরুর গোবর কাজে লাগাতে তৈরি করেন বায়োগ্যাস প্লান্ট ও জৈব সার উৎপাদন। বায়োগ্যাসে চলে পারিবারিক রান্নাবান্নার কাজ আর জৈব সারে করেন ধান চাষ। ধান চাষের পাশাপাশি উন্নত আলু চাষ ও গরুর খাদ্যের জন্য ঘাস উৎপাদন করেন। বর্তমানে ৩২ বিঘা জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে বছরে ২ বার আউশ ও আমন চাষ করেন। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে তিনি কয়েক লাখ টাকার ধান বিক্রি করেন। এছাড়া ১৫ বিঘা জমিতে রয়েছে তার মৎস্য খামার। এই খামারে রুই ও কাতলা জাতের মাছ রয়েছে। বছরে এই খাত থেকেও তিনি আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন। এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আশীষ কুমার পাল ১৯৯৮ সালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষি নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেন। সমন্বিত কৃষিভিত্তিক খামার স্থাপনে ২০১২ সালে জাতীয় পর্যায়ে ব্রোঞ্জপদক পান। চলতি বছর প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় উপজেলা পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন।
আশীষ কুমার পালের স্বপ্ন কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগে পৃথকভাবে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা। সে লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন জানান, সমন্বিত কৃষিতে আশীষ কুমার পাল একজন সফল ব্যক্তি। কৃষি বিভাগ তার সব কর্মকাণ্ডে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে থাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়