গাজীপুরে সালনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ব্যবসায়ীদের দাবি : দাম বাড়িয়েও পোষাচ্ছে না

পরের সংবাদ

অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি : জনভোগান্তি প্রশমনে গুরুত্ব দিতে হবে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীতে বছরজুড়েই চলছে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি। সিটি করপোরেশন, মেট্রোরেল স্থাপন, ওয়াসা, তিতাস, ডেসকোসহ সবাই মিলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো সড়ক, অলিগলি খুঁড়ছে। আজ এই প্রতিষ্ঠান কাটছে তো কাল কাটছে আরেক প্রতিষ্ঠান। এ সব খোঁড়াখুঁড়ির ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নেই কোনো তদারকি। আর বৃষ্টি হলে অবস্থা আরো নাজুক; সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র জলাবদ্ধতা। এতে অভাবনীয় মাত্রায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। প্রতিনিয়তই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। রাজধানীবাসীকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আমরা চাইব, সেবা সংস্থাগুলো নগরবাসীর ভোগান্তি প্রশমনে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে উদ্যোগী হবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বেশিরভাগ এলাকার সড়কে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। বিশেষ করে বর্ষাকে সামনে রেখে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেন সংস্কার, পরিষ্কার ও নির্মাণকাজ চলছে। দেখা গেছে, বেশিরভাগ এলাকায় রাস্তার অর্ধেকটা গর্ত করে কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা। মানছে না কোনো নিয়মনীতি। উপেক্ষিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্তও। গত কয়েক বছর বর্ষায় ছিল ফ্লাইওভার নির্মাণে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। তবে আশার কথা, ফ্লাইওভার চালু হওয়ার পর এ বছর সেই ভোগান্তি নেই। চলছে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ। অনেক এলাকায় বসানো হচ্ছে ড্রেনের পাইপ ও সেবা-সংযোগ। ফলে ঢাকার মূল সড়কের বেশিরভাগ কাটা হচ্ছে। গতকাল ভোরের কাগজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে রাজধানীতে খোঁড়াখুঁড়ির এমন চিত্র। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর বাংলামোটর থেকে মগবাজারমুখী সড়কের বেহাল দশা দেখে আঁতকে উঠবেন যে কেউই। মিরপুর ১০ হয়ে তেজগাঁও, ফার্মগেট থেকে বাংলামোটর মোড়- এসব রাস্তায় যাতায়াতকারী প্রতিটি মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। খোঁড়াখুঁড়ির ফলে রাস্তাগুলোর ৪ ভাগের ২ ভাগই বন্ধ হয়ে আছে। সরকারি বিধান অনুযায়ী, দেশে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ মাস রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মাটি নরম থাকার অজুহাতে এই সময়টাই রাস্তা খননের মাত্রা বেড়ে যায়। ঢাকা মহানগরীর সড়ক খনন নীতিমালা-২০১৯ অনুযায়ী, দিনে খনন কাজ বন্ধসহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করলে জরিমানার বিধান রাখা হলেও এর কোনো প্রয়োগ নেই। ঢাকা উত্তরের মোহাম্মদপুর, শেখেরটেক, বাসস্ট্যান্ড, মিরপুর, পল্লবী, কাফরুলের বেশ কিছু এলাকা, উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, তেজগাঁও, তেজতুরী পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। এরই মধ্যে বেশকিছু কাজ শেষ হলেও বর্ষার মধ্যে পুরো কাজ শেষ হওয়া নিয়ে রয়েছে নানা সংশয়। সেবা কার্যক্রমের স্বার্থে রাজধানীতে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি প্রায়ই অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সমন্বয়ের অভাবে এ ক্ষেত্রে যে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়, তা মেনে নেয়া কঠিন। বর্ষা মৌসুমে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো যাতে চলাচল উপযোগী থাকে, সেটি বিবেচনায় নিয়ে কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নগরবাসীর ভোগান্তি প্রশমনে ত্বরিত বাস্তবোচিত পদক্ষেপ নেবে- এমনই প্রত্যাশা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়