মা-বাবার অভিযোগ : মেয়ে ও জামাই বাড়ি দখল করতে মরিয়া

আগের সংবাদ

প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

পরের সংবাদ

লিজকৃত সীমানা বুঝিয়ে দেয়নি প্রশাসন : মাধবপুরে কোয়ারি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি বালু মহাল নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। কোয়ারি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ রেখেছে ইজারাদার। ১১ মাসেও উপজেলা প্রশাসন বালু মহালের সীমানা বুঝিয়ে না দেয়ায় দেখা দিয়েছে জটিলতা। ইজারাদারের দাবি তাকে মহালের সীমানা বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। অন্যদিকে প্রশাসন চৌমুহনী ও বহরা রাবার ড্যাম এলাকার ৫০০ মিটার এলাকার মধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে লাগিয়ে দিয়েছে সাইনবোর্ড। লিজকৃত বালু মহালের সীমানা বুঝিয়ে দিতে ইজারাদার আবেদন করলেও কাজ হয়নি।
ইজারাদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বিরুদ্ধে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মাধবপুর উপজেলার মনতলা-চৌমুহনী সিলিকাবালু কোয়ারি এক বছরের জন্য ইজারা নেয় মেসার্স আলফাজ এন্টারপ্রাইজ।
ইজারা নেয়ার পর মেসার্স আলফাজ এন্টারপ্রাইজ তার বালু মহালের সীমানা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে আবেদন করলে প্রশাসন তাকে লিজকৃত সীমানা বুঝিয়ে দেয়নি অন্যদিকে কোয়ারি ইজারা চুক্তির সপ্তম তফসিল ১০(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রেল লাইন সেতু, শিল্প স্থাপনা, বাঁধ এবং ব্যারেজ থেকে ১৫০ মিটার দূরত্বের মধ্যে কোনো কার্যক্রম করতে পারবে না। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোয়ারি ইজারা চুক্তিপত্র অমান্য করে ৫০০ মিটার এলাকার মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না এই রকম একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। যার কারণে মহালদার ওই এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করতে পারছে না। তাছাড়া সম্প্রতি নদী খনন কাজ শুরু হলে সোনাই নদী খনন কাজ শুরু হয়। তখন ইজারাদার নদী খনন কাজের জন্য বালু উত্তোলন করতে পারেনি।
স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করায় মহালদার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। এই ব্যাপারে ইজারাদার আলফাজ মিয়া একটি লিখিত আবেদন করেন। সম্প্রতি অবৈধভাবে বালু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় প্রশাসন কয়েকটি গাড়ি আটক করে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা না করে নামমাত্র জরিমানা করে ছেড়ে দেয়।
তাছাড়া স্থানীয় কিছু লোক মেসার্স আলফাজ এন্টারপ্রাইজের নিযুক্ত ম্যানেজারকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি দাবি করে আসছিল। এ ঘটনায় আলফাজ মিয়া গত ২৫ আগস্ট হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি আমলে নিয়ে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে থানায় মামলাটি রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।
ইজারাদার আলফাজ মিয়া জানান, সোনাই নদী বালু কোয়ারি ইজারা নিয়ে তিনি নানা জটিলতায় আছেন। বালু মহাল অবৈধ বালু চোরদের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া প্রশাসন অবৈধ বালু গাড়ির আটক করলেও ৩০ হাজার ও আরেকটি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। বালু মহাল ও মাটি আইন অনুযায়ী সর্বনি¤œ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়