মা-বাবার অভিযোগ : মেয়ে ও জামাই বাড়ি দখল করতে মরিয়া

আগের সংবাদ

প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

পরের সংবাদ

রাষ্ট্রের মনিটরিং জরুরি : ড. আদিল মুহাম্মদ খান, নগর পরিকল্পনাবিদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেছেন, নগরের বিভিন্ন জায়গায় বছরজুড়ে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি জনভোগান্তির সবচেয়ে বড় কারণ। এক্ষেত্রে উন্নয়ন সংস্থাগুলো নিজস্ব স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে আনার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ কম। তাছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক অর্থের ছড়াছড়ি থাকে। যত বেশি খোঁড়াখুঁড়ি তত বেশি অর্থ। এই ধরনের প্রবণতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। এজন্য রাষ্ট্রকেই উন্নয়ন প্রকল্পের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব নিতে হবে। সংস্থাগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে না

পারলে সমস্যার সমাধান হবে না। জনভোগান্তি এড়াতে এটি করা জরুরি। কারণ দিন শেষে টাকাটা জনগণের পকেট থেকে যাচ্ছে। তাদের করের টাকার অপচয় হচ্ছে। গতকাল সোমবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, একই রাস্তা এক সংস্থা খুঁড়ে যাওয়ার কিছুদিন পরে ফের অন্য সংস্থা খুড়ছে। অথচ মেয়রদের দীর্ঘদিনের একটা দাবি ছিল, কোনো সংস্থা যখন তাদের বার্ষিক পরিকল্পনা তৈরি করবে, কোনো এলাকায় কী ধরনের উন্নয়নের কাজ করবে সেটা অর্থবছরের শুরুতেই সিটি করপোরশনের কাছে জমা দেবে এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করপোরেশন এসব কাজের সমন্বয় করবে। কিন্তু এসব সমন্বয় এবং মনিটরিং কোনোটাই হচ্ছে না।
তিনি বলেন, একটি সংস্থা যখন কোনো রাস্তা খনন করবে সেটা কীভাবে কোনো পদ্ধতিতে করবে এবং জন ভোগান্তি নি¤েœ রাখার জন্য করণীয় নির্ধারণের বিষয়টি অধিকাংশ সংস্থাই মানছে না। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে খোঁড়াখুঁড়ি ও জনভোগান্তি রোধে সড়ক খনন নীতিমালাও উপেক্ষিত। নীতিমালায় জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত খননকাজ পরিহার করার কথা উল্লেখ থাকলেও সেটা মানা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আন্তঃসমন্বয় নেই, সিটি করপোরেশনের কাছে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা দেয়ার কথা বলা থাকলেও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যায় না।
বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিটি সংস্থার কাজের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, বার্ষিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। কখন কোন কাজ করা হবে, যেমন- ৫ বছর মেয়াদি কাজের মধ্যে সামনের বছরে কি কাজ করবে এগুলো সঠিক পরিকল্পনা মাফিক করা জরুরি। বাইরের দেশগুলোতে সিটি করপোরেশন ও সিটি কাউন্সিলগুলো আগে ভাগেই সব কাজের সমন্বয় করে ফেলে। সমন্বয় করলে রাস্তার কাজের পুনরাবৃত্তি হওয়া সম্ভব না। আর সমন্বয়ের জন্য সিটি করপোরশনের অবশ্যই উচিত উন্নয়ন সংস্থাগুলোর পঞ্চবার্ষিকী ও বার্ষিক পরিকল্পনার অনুযায়ী সমন্বয় করা। তাছাড়া বর্তমানে আইনের যে ধারা রয়েছে কোনো একটি সংস্থা চাইলেই রাস্তার কাজ করতে পারবে এমন ধারার ও পরিবর্তন আনা জরুরি।
এছাড়া জনভোগান্তি কমাতে এলাকাভিত্তিক কমিউনিটি গ্রুপের সঙ্গে সেবা সংস্থার আলোচনা ও করণীয় নির্ধারণ, সড়ক খনন নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ, নীতিমালা অনুযায়ী ‘ওয়ান স্টপ’ সমন্বয় সেল এবং সিটি করপোরেশনের অঞ্চলভিত্তিক কয়েকটি ‘মনিটরিং সেল’ কার্যকর করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়