মা-বাবার অভিযোগ : মেয়ে ও জামাই বাড়ি দখল করতে মরিয়া

আগের সংবাদ

প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

পরের সংবাদ

রাজশাহীতে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা : বিএমডিএ ঘেরাও

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এটিএন নিউজের রিপোর্টার বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরাপারসন রুবেল ইসলাম। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর বর্ণালি মোড় আমবাগান এলাকায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) অফিসের প্রধান ফটকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে বিএমডিএ অফিস ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিকরা।
জানা গেছে, সকালে বিএমডিএ অফিসে যান সাংবাদিক বুলবুল ও রুবেল। অফিসের কর্মকর্তারা যথাসময়ে অফিসে আসছেন কি না জানতে সেখানে অবস্থান করলে অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এসে সাংবাদিকদের অফিস ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এ সময় চ্যানেলটিতে লাইভ সম্প্রচার শুরু হয়। একপর্যায়ে বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদের নির্দেশে হামলা চালানো হয় দুই সাংবাদিকের ওপর। ভেঙে ফেলা হয় তাদের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন। পরে স্থানীয়রা দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ক্যামেরাপারসন রুবেলের কানের পর্দা ফেটে গেছে। রক্তক্ষরণ হয়েছে তার কানে। হামলার শিকার সাংবাদিক বুলবুল হাবিব জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কর্মকর্তারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বিনা অনুমতিতে চিত্রধারণ করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এদিকে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকরা বিএমডিএ কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে), রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (আরটিজেএ), রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ আরো কয়েকটি সংগঠনের নেতারা প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বিএমডিএর চেয়ারম্যান আখতার জাহানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অন্য একজন ফোন রিসিভ করে ‘ম্যাডাম ব্যস্ত আছেন’ বলেই ফোন কেটে দেন। জানতে চাইলে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়