মা-বাবার অভিযোগ : মেয়ে ও জামাই বাড়ি দখল করতে মরিয়া

আগের সংবাদ

প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

পরের সংবাদ

মেয়র আতিক : যানজট কমাতে স্কুলবাস চালু করতে হবে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পরিবেশ রক্ষা ও যানজট কমাতে শিক্ষার্থীদের পরিবহনে নিজস্ব বাস সার্ভিস চালু করতে রাজধানীর স্কুলগুলোর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে ‘বাংলাদেশ’স রোড টু নেট-জিরো (কার্বন নিউট্রালিটি)- রোল অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই)।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা শহরের স্কুলগুলোতে বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সামনে শত শত গাড়ি। একজন শিক্ষার্থীর জন্য একটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়। পরিবেশ রক্ষায় ও যানজট কমাতে স্কুল বাস চালু করতে হবে। এর ফলে প্রাইভেট গাড়ির ব্যবহার কমে যাবে। স্কুলবাস সার্ভিস চালু হলে পরিবেশ দূষণ কমবে, যানজট কমবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক বন্ধনও সুদৃঢ় হবে। আমি ইতোমধ্যে কয়েকটি স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা এই বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে স্কুলবাসে যাওয়া-আসা করলে তারা আনন্দ পাবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি হবে।’
মেয়র বলেন, ‘স্কুলবাসগুলোতে সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আমরা জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক স্কুলবাস চালু করার জন্যও কাজ শুরু করেছি। ‘ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিন অসংখ্য লোক ঢাকায় চলে আসে। এর মধ্যে অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছে বিভিন্ন বস্তিতে। দোকান নিয়ে বসছে ফুটপাতে। নগরবাসী পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব অনুভব করছে। শহরের সকলেই সম্ভাব্যভাবে জলবায়ু প্রভাবের সম্মুখীন।’
শহরের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ডিএনসিসি ইতোমধ্যে অনেক ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘লাউতলা খালের উপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ট্রাক স্ট্যান্ড ও মার্কেট উচ্ছেদ করে খালটি পুনরুদ্ধার করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা লাউতলা খালের পাড়ে দুই হাজার গাছ রোপণের কাজ শুরু করেছি। সেখানে দৃষ্টিনন্দন পার্ক ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করবো। লাউতলা খাল সংলগ্ন উদ্ধারকৃত জমিতে একটি খেলার মাঠও নির্মাণ করা হবে।’
বিজিসিসিআই’র সহসভাপতি সিভাস্টিয়ান গ্রো-র সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জলবায়ু বিজ্ঞানী এবং গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট’র পরিচালক ড. সালিমুল হক, বিজিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি তরুণ পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়