মা-বাবার অভিযোগ : মেয়ে ও জামাই বাড়ি দখল করতে মরিয়া

আগের সংবাদ

প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

পরের সংবাদ

বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন : আমন্ত্রণ না পাওয়ায় দিল্লি যাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সত্যজিৎ চক্রবর্তী, কলকাতা : ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং একান্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু আমন্ত্রণ না থাকায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাাচ্ছেন না। শেখ হাসিনা যখন ভারত সফর করছেন, ঠিক তখনই বাংলাদেশের মানুষকে প্রণাম জানিয়েছেন মমতা। গতকাল ভারতজুড়ে পালিত হয় শিক্ষক দিবস (শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি প্রয়াত সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন)। কলকাতায় এই বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এই প্রণতি জানান মমতা বন্দোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, আমি জানি আজ (সোমবার) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে এসেছেন। সম্ভবত ৮ তারিখ পর্যন্ত উনি আছেন এবং আমরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আমাদের শুভেচ্ছা, আমাদের অভিনন্দন এবং আমাদের প্রণাম, সালাম জানাই। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষকদেরও আমাদের প্রণাম ও সালাম। কারণ সংস্কৃতির দিক থেকে ওদের আর আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সেই সঙ্গে বিদেশের মাটিতে কোনো সভায় যেতে দেয়া হয় না বলেও নাম না করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের অনেক জায়গায় আমাকে বক্তৃতা দিতে ডাকলেও আমি যেতে পারি না। কারণ যেতে দেয়া হয় না। তাতে কিছু যায় আসে না।
হাসিনার এই ভারত সফরে সীমান্তবর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার সঙ্গে একান্তে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আপাতত তা হচ্ছে না। মাসখানেক আগে শেখ হাসিনা নিজেই মমতা ব্যানার্জিকে চিঠি দিয়ে দিল্লি সফরে তার সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। হাসিনা লিখেছিলেন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমার নির্ধারিত নয়াদিল্লি সফরকালে আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা রাখি। এর আগে গত ২০১৭ সালেও দিল্লি সফরে এসে মমতার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছিলেন হাসিনা। দুই নেত্রীর একান্ত বৈঠকে উঠে এসেছিল তিস্তা পানিবণ্টনসহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বিষয়। শেষবার ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেবার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর আমন্ত্রণে ভারত-বাংলাদশের মধ্যে ইডেনে অনুষ্ঠিত গোলাপি টেস্ট দেখতে কলকাতায় হাজির ছিলেন হাসিনা। সেবারও কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে মমতার সঙ্গে একান্তে কথা হয়েছিল হাসিনার। আসলে মমতা এবং শেখ হাসিনার বন্ধুত্ব সর্বজনবিদিত, দুই বোনের সম্পর্ক। অতীতে মমতার জন্য পুজোতে শাড়ি, মৌসুমি ফল আম, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য ইলিশও পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
দুই বাংলার এই দুই নেত্রীর মধ্যে রয়েছে স্নেহ-সম্মান-ভালোবাসার স্বতঃস্ফূর্ত বন্ধন। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই বাংলার কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে। আর সে কারণেই ভারত সফরে ‘বোন’ সমতুল্য মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী ছিলেন শেখ হাসিনা। আর এই সব বিষয়ে মাথা রেখেই হাসিনার দিল্লি সফরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মমতা ব্যানার্জিকে আমন্ত্রণ করার জল্পনা ছড়িয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু আমন্ত্রণ না আসায় দিল্লি যাচ্ছেন না মমতা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়