মা-বাবার অভিযোগ : মেয়ে ও জামাই বাড়ি দখল করতে মরিয়া

আগের সংবাদ

প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

পরের সংবাদ

ফ্লোর প্রাইসের মধ্যে দ্বিতীয় বড় পতন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ১৮ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ করার মধ্য দিয়ে নেতিবাচক যে ইঙ্গিত পুঁজিবাজার আগের দিন দিয়েছিল, গতকাল সোমবার সেটি আরো জোরাল হলো। সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে সূচক পড়ল ৫৮ পয়েন্ট, যদিও এক পর্যায়ে কমে গিয়েছিল ৬৮ পয়েন্ট। এদিন বেড়েছে কেবল ৩৮টি কোম্পানির দর, বিপরীতে কমেছে ২৬৩টির। আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে ৬৮টি কোম্পানির শেয়ার, যেগুলোর সিংহভাগই ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ৩১ জুলাই সব শেয়ারের সর্বনি¤œ মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পতন। গত ১০ আগস্ট ৭৮ পয়েন্ট সূচকের পতন হয়েছিল অর্থনীতি নিয়ে নানা উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ায়। তবে এরপর থেকে ডলারের বিপরীতে টাকার শক্তি ফিরে পাওয়া, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধিসহ নানা ইস্যুতে গত ১৪ আগস্ট থেকে পুঁজিবাজার টানা বাড়তে থাকে। সেদিন থেকে ৬ কর্মদিবসে ১৬৭ পয়েন্ট সূচকের উত্থানের পর ২৪ আগস্ট ৩৫ পয়েন্ট দরপতনের মধ্য দিয়ে একদিন বিশ্রাম নেয় পুঁজিবাজার। এরপর থেকে শুরু হয় আরেক দৌড়। আবার টানা ৬ দিন বাড়ে সূচক। এই সময়ে যোগ হয় ২২৮ পয়েন্ট। এর মধ্যে গত রবিবার লেনদেনের শুরুতে যে চিত্র দেখা দেয়, সেটি এক বছর আগে ১২ সেপ্টেম্বর বাজার সংশোধন শুরু হওয়ার দিন দেখা গিয়েছিল। আগের দিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে সূচক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল। দিনের সর্বোচ্চ এই অবস্থান থেকে ৯৬ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয় ১৮ পয়েন্ট সূচক হারিয়ে, যদিও এক পর্যায়ে সূচক পড়েছিল ১০৫ পয়েন্ট। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এমন একটি চিত্র দেখা গিয়েছিল, যেদিন থেকে পুঁজিবাজার মূলত সংশোধনে যায়। সে সময়ও পুঁজিবাজার ক্রমেই বাড়ছিল। আর লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে সূচক বেড়ে যায় ৭৮ পয়েন্ট। সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ১২৪ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত সূচক কমে ৫৬ পয়েন্ট।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে মতভেদ, বছর শেষে বিনিয়োগ সমন্বয়সহ নানা কারণে বাজার যখন চাপে, তখন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার পর শুরু হয় ধস। রবিবারের লেনদেনের এই বিষয়টি স্বাভাবিক ঠেকছিল না। পরে দেশের বাইরে অবস্থানকারী বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী-রুবাইয়াত উল ইসলাম জানান, তারা জানতে পেরেছেন, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হচ্ছে, এমন একটি গুজব ছড়িয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেন, এটি উঠে যাচ্ছে না। তবে এই নিশ্চয়তা দেয়ার পরদিন পতন আরো বড় হলো। লেনদেন শুরু হয়েছিল যদিও ইতিবাচক প্রবণতা নিয়ে, কিন্তু পতন শুরু হতে দেরি হয়নি। শেয়ারগুলো দর হারানোর পাশাপাশি বড় পতন হয়েছে লেনদেনেও। আগের দিন চলতি বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে লেনদেন হলেও সেটি নেমে এসেছে দেড় হাজার কোটি টাকার নিচে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনি¤œ লেনদেন এটি। ফ্লোর প্রাইস ইস্যু ছাড়াও বাংলাদেশে ব্যাংকের রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়া এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের বিল পরিশোধের পর সেটি ৩৮ বিলিয়নের নিচে নামার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেটিও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলতে পারে।
আবার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে গুজবে বিশ্বাস করে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি এর আগেও দেখা গেছে, সেটিও একটি কারণ হতে পারে। গতকাল যতগুলো শেয়ারের দাম বেড়েছে কমেছে তার ৬ গুণের মতো। ৩৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৬৩টির। আর আগের দরেই লেনদেন হয়েছে ৬৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়