মা-বাবার অভিযোগ : মেয়ে ও জামাই বাড়ি দখল করতে মরিয়া

আগের সংবাদ

প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

পরের সংবাদ

গৌরনদীতে বেপরোয়া চোর ও ছিনতাইকারী চক্র : ফুটেজ দেখেও শনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি : গৌরনদীতে ৯টি দোকানে ও ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুরি এবং ১টি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সিসিটিভি ফুটেজে ২টি দোকানে চুরির দৃশ্য দেখেও চোর শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
উপজেলার মাহিলাড়া বাজার কমিটির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, সংঘবদ্ধ একদল চোর গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে বাজারের সুকদেব অধিকারী গার্মেন্টস, সুবল অধিকারীর গার্মেন্টস, রাসেল রাঢ়ীর চাউলের দোকান ও গত ২৯ আগস্ট রাতে শাহিন ইলেকট্রিক এন্ড হার্ডওয়ার, শামিম স্টোর, সততা স্টোরসহসহ ৮টি দোকানের টিনের বেড়া কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ৩ লক্ষাধিক টাকা ও মূল্যবাল মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। মাহিলাড়া বাজারের শাহিন ইলেকট্রিক এন্ড হার্ডওয়ারের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, গত ২৯ আগস্ট সোমবার রাত দেড়টার দিকে টিন কেটে দোকানের ভেতর প্রবেশ করে এক চোর। এরপর ওই দোকান থেকে ২১ হাজার টাকা ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায় চোরচক্র।
জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট রাতে উপজেলার গাউছিয়া আবেদীয়া আলিম মাদ্রাসার লাইব্রেরির তালা ভেঙে ৬টি ল্যাপটপ ও নগদ টাকা এবং বড়দুলালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরির তালা ভেঙে একটি ল্যাপটপ ও একটি প্রজেক্টর চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্র। গত ২৭ আগস্ট উপজেলার রামসিদ্ধি বাজার সরকারি প্রা. বিদ্যালয়, উত্তর চাঁদশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাহাজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একটি করে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর চুরির ঘটনা ঘটে।
গত ২৫ আগস্ট কসবা গো-হাটে গরু কিনতে গিয়ে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন চরদিয়াশুর গ্রামের কালাম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি। ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার কাছ থেকে দেড়লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও পুলিশ চোর ও ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করতে না পারায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব ঘটনার কিছুদিন আগে বাটাজোর বাজারে পার্থ কম্পিউটার সেন্টারের টিনের চালা কেটে চোর প্রবেশ করে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে চুরির দৃশ্য দেখা যায়।
কম্পিউটার সেন্টারের মালিক পার্থ হালদার বলেন, আমার দোকানে চুরির ঘটনায় আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। মাহিলাড়া বাজারের শাহিন ইলেকট্রনিক্সের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে যে চোরের ছবি দেখা গেছে আমার দোকানের সিসিটিভি ফুটেজেও একই ব্যক্তিকে দেখা গেছে। পুলিশ তৎপর হলে চোর শনাক্ত করা সম্ভব হত।
গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন বলেন, চুরি বন্ধে আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি হাট-বাজারগুলোতে পাহাড়া জোরদারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়