মা-বাবার অভিযোগ : মেয়ে ও জামাই বাড়ি দখল করতে মরিয়া

আগের সংবাদ

প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

পরের সংবাদ

ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে রূপালী ব্যাংক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। নানা সমালোচনা ছিল ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের নিয়ে। এবার জনতা ব্যাংকের পর ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবার রূপালী ব্যাংক। সম্প্রতি জনতা ব্যাংকের ৫ জন এবং রূপালী ব্যাংকের ৪ জন ঋণখেলাপিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনতা ব্যাংকের একই পথে হাঁটছে রূপালী ব্যাংকের খেলাপি গ্রাহকদের বেলায়ও। ব্যাংকটির টিসিবি ভবন করপোরেট শাখার দীর্ঘদিনের খেলাপি গ্রাহক এন ডি গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদা জামানকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে দিয়ে আলোচনায় আসে বিষয়টি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রূপালী ব্যাংকের টিসিবি ভবন করপোরেট শাখার গ্রাহক এন ডি গ্রুপের কাছে ৪৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী ছিল। ব্যাংকের শাখা থেকে ঋণ আদায়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো ধরনের সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণ আদায়ে অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৩৪(১) ধারা মোতাবেক ০৬(ছয়) মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ প্রদান, দায়িকের গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট ফৌজদারি কার্যবিধির ৭৫ ধারায় অর্থজারী মামলা-৩০৬/২০২১) এর প্রেক্ষিতে গত ২৬.০৮.২০২২ তারিখে তুরাগ থানা পুলিশ এন ডি গ্রুপের ঋণের জামিনদার মো. আলমগীর হোসেন, মাহবুব আলম ও এইচ এম শহীদুল আলম (মানিক)কে গ্রেপ্তার করে। সবশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর খিলক্ষেত থানা পুলিশ মাহমুদা জামানকে তার নিজ বাসা ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।
মামলার নথি পর্যালোচনা করে আদালত এন ডি গ্রুপের বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গত রবিবার অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়া যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন আরো কয়েকজন খেলাপি। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, আছেন আত্মগোপনেও।
এ ব্যাপারে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। যে কোনো মূল্যে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনা হবে এবং ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নীতি অব্যাহত থাকবে।
ঋণের নথি পর্যালোচনায় জানা যায়, এন ডি গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদা জামান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহাদুজ্জামান মূলত গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। মেয়াদি ঋণ, সিসি (হা), এলটিআর, ফোর্সড লোন ও কার লোন বাবদ গ্রুপটির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ১. এন ডি প্রিন্টিং এন্ড এমব্রয়ডারি লিমিটেড ২. এন ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড ৩. এন ডি নিট কম্পোজিট লিমিটেড এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহাদুজ্জামান (কার লোন) এবং পরিচালক মাছুমুজ্জামান (কার লোন) এদের নামে মোট ঋণ হিসাব সংখ্যা ১০টি। ঋণের দুই দফা পুনঃতফশিল করা হয় ১ম ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২ এবং দ্বিতীয় দফা ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে। খেলাপির তারিখে মোট মূল ঋণ ৪৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং বর্তমান স্থিতির পরিমাণ ৪৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
রূপালী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বারবার তাগাদা দেয়া সত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ যে সমস্ত গ্রাহক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টাকা পরিশোধ করেছেন না, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে রূপালী ব্যাংক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়