ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

২৫ হাজার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ : রৌমারীতে বন্যায় দেবে যাওয়া ব্রিজ মেরামত হয়নি ৫ বছরেও

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : রৌমারীর চরশৌলমারী ইউনিয়নের হামিদ মোড়ের পশ্চিম পাশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫০ টাকায় নির্মিত হয় ৬০ ফিট ব্রিজ। ৩ মাস যেতে না যেতেই বন্যার প্রবল ¯্রােতে দেবে যায় ব্রিজটি। ফলে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয় প্রায় ১৮টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষের। এদিকে ভারী যানবাহন, কৃষি মালামাল, কলেজ শিক্ষার্থী, হাটবাজার ও উপজেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। বিকল্প চলাচলের রাস্তা না থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অসুস্থ রোগীদের পড়তে হয় ভোগান্তীতে। পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও মেরামত করা হয়নি এই ব্রিজটি।
জানা গেছে, রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের চরশৌলমারী বাজার থেকে কলেজে যাওয়ার রাস্তায় ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা খালের ওপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ব্রিজ নির্মাণ করে। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ঘুঘুমারী, সুখের বাতি, খেদাইমারী, চরঘুঘুমারী, কলেজ পাড়া, পাহালী পাড়া, চর গেন্দার আলগা, দই খাওয়ারচর, খাওরিয়ারচর, কাজিয়ারচরসহ প্রায় ১৮টি গ্রামের প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে শুকনা মৌসুমে বিকল্প পথে চলাচল করলেও বন্যার শুরু থেকে ৭-৮ মাস কষ্টে চলাচল করতে হয় স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী ব্যবসায়ীদের। স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণের ৩ মাস পরে বন্যার তীব্র ¯্রােতে ডেবে যায়। এলাকার মানুষ ধান, পাট, আখ, রবি জাতীয় ফসলাদি হাট-বাজারে নিতে পারেন না। এ অঞ্চলের মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনছার আলী তুহিন জানান, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় স্কুল কলেজ, কৃষকের মালামাল বহন ও উপজেলা সদরে যাওয়া মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিজটি মেরামতের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোনো কাজ হচ্ছে না। চরশৌলমারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার ফলে আমার কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকার প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষের চলাচল মালামাল বহনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রিজটি মেরামতের জন্য অনেক বার বলেছি কোনো কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় জেলা মাসিক সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে নতুন ব্রিজ নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। ব্রিজের দুইপাশ বেশি ভেঙে যাওয়া এবং গভীরতার ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় মাপে পড়ে না। এ কারণে সভায় ১৫০ ফিট লম্বা ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয় এলজিইডির কাছে। এভাবে ব্রিজ নির্মাণে বিষয়টি প্রস্তাবিত আকারে রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়