ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

সেমিনারে বক্তারা : ১০ বছরের মধ্যে বসবাসের অযোগ্য হবে চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়তে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্ব ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, পাহাড় নদী সাগর রক্ষা করে পরিবর্ধনশীল মহানগরী গড়ার পরিকল্পনা আজকে থেকে বাস্তবায়ন কাজ শুরু না করলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তোলা সম্ভব। তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে ১৫ লাখ মানুষের শহরে কোটি মানুষ বাসবাস করছে। এখন পরিকল্পিত পরিবর্ধনশীল আধুনিক মহানগরী গড়তে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। সঠিক পরিকল্পনা রাজনৈতিক প্রশাসনিক সদিচ্ছাই পারে আধুনিক নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়তে।
গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশবান্ধব নান্দনিক চট্টগ্রাম মহানগর গড়তে সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে আমি দ্বিধা করবো না। যে পাহাড় কাটবে তাকেই জেলে যেতে হবে। খাল-নালা, ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। আগামীতে নিয়মিত তা অব্যাহত থাকবে। দখলকারীরা তথাকথিত যতই প্রভাবশালী হোক আমরা তোর তোয়াক্কা করি না আগামীতেও করবো না।
মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনকারী অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, এখন থেকে পরিকল্পিত পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ করে তার সঠিক বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী ১০ বছরে চট্টগ্রাম মহানগরী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। তিনি চট্টগ্রাম শহরকে আধুনিক পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে মীরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক করে তার উভয় পাশে আধুনিক নগর গড়ে তোলার কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়ে তোলা সম্ভব। সেক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার সঠিক বাস্তবায়ন অবশ্যম্ভাবী।
সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুমিনুর রহমান বলেন, পাহাড় নদী খাল দখলকারী মসজিদের ঈমাম বা পুরোহিত যেই হোক না কেন তাদের নীতিগত দুর্বলতা থাকবে। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সঠিক আইনের প্রয়োগ করা হলে তারা পালাবেই। তিনি বলেন, জঙ্গল সলিমপুর থেকে পাহাড় খেকোকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে আমাকে বদলির হুমকি দেয়া হয়েছে। দুর্বৃত্তদের ভয় না পেলে সরকারি চাকরিজীবীরা অনেক কাজ করতে পারবে।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, একজন আইনজীবী, একজন মেয়র, একজন জেলা প্রশাসকের পক্ষে চট্টগ্রামের পরিরেশ রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রত্যেক নাগরিক নিজ জায়গা থেকে সচেতন থেকে সামাজিক আন্দোলন করলে পরিবেশবান্ধব চট্টগ্রাম মহানগরী গড়ে তোলা সম্ভব। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মফিদুল আলম বলেছেন, জনগণ সচেতন হলে আমাদের কাজ করাটা সহজ হয়। আমাদের অনেক সীমাবন্ধতা সত্ত্বেও পাহাড়, খাল নদী রক্ষায় প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদের সভাপতিত্বে দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন, চুয়েট’র প্রাক্তন ভিসি ও ওয়াসার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও সিনিয়র সাংবাদিক আলীউর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিডিএ বোর্ড মেম্বার স্থপতি আশিক ইমরান। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অধ্যাপক মনোজ কুমার দেব। সংগঠনের পরিচিতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক কামাল পারভেজ, যুব পরিবেশ সংগঠন জোট বে এর সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় চক্রবর্তী, পরিবেশ ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম পেয়ার আলী প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়