ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

সীমান্তে গোলাবর্ষণ : মিয়ানমারের দূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান অভিযান এবং এর ফলে বাংলাদেশের ভেতরে ওইদেশ থেকে গোলা এসে পড়ার ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। গতকাল রবিবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং চয়ে মোয়েকে তলব করে এ বিষয়ে একটি কূটনৈতিক আনুষ্ঠানিক পত্র হস্তান্তর করা হয়। গত ১৫ দিনের মধ্যে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তিন দফা তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মাইনুল কবির রাষ্ট্রদূতকে সমন করেন। এদিকে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ এবং এই উদ্বেগের কথা দেশটিকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, গতকাল রবিবার সকালে রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয় এবং প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অসন্তুষ্টির বিষয়টি তাকে জানানো হয়। রাষ্ট্রদূতকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তলব করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তে মিয়ানমারের অভিযানের কারণে বাংলাদেশের প্রভাব বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি তাদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা প্রয়োজন এবং সেটির বিষয়েও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাগিদ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ এবং এই উদ্বেগের কথা দেশটিকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর উপলক্ষে গতকাল রবিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আব্দুল মোমেন বলেন, আজকে আমরা তাদের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিলাম। আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছি। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে আমাদের এখানে এসে গোলা পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওরা বলেছে যে, এগুলো হঠাৎ করে চলে এসেছে। তারা আমাদের উসকানি দিচ্ছে না এবং এটি হঠাৎ করে আমাদের দিকে পড়ে গেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান শক্ত করেছি। আমাদের ভয় হলো অত্যাচারিত লোকগুলো আবারো যদি আমাদের দেশে ঢোকার চেষ্টা করে। আমাদের বর্ডার গার্ড এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়েছি, যাতে কেউ এখানে না আসতে পারে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এই ঘটনা প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আশাবাদী। আমরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের যে প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি এবং চেষ্টা করছি, সেটি বাধাগ্রস্ত হবে না।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি স্থানে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার টহল দেয়। সে সময় তাদের যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮-১০টি গোলা ছোড়া হয়। এ ছাড়া হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫টি গুলি করতে দেখা যায়। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর আনুমানিক ১২০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে। এই ঘটনার পর থেকে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। এর আগে, ২৮ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়েছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়