ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

মির্জা ফখরুল : বিএনপির কর্মসূচিতে জনসম্পৃক্ততা দেখে আওয়ামী লীগ ভীত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে জনসম্পৃক্ততা দেখে আওয়ামী লীগ ভীত হয়ে পড়েছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই বিরোধীদলমুক্ত নির্বাচনী মাঠ গড়তে সারাদেশে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। অনির্বাচিত সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা। ভয়ভীতি গুম খুন হত্যা করে এখন ক্ষমতায় টিকে আছে তারা। আমাদের স্পষ্ট কথা, নির্বাচন নির্বাচন খেলার প্রয়োজন কী, নির্বাচন বাদ দিয়ে সরাসরি উত্তর কোরিয়ার মতো ঘোষণা দিয়ে দেন। এক দল, এক ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকবে। তাহলে তো দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কারো প্রাণ দেয়ার প্রয়োজন নেই। গতকাল রবিবার খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে সমাধান একটাই, সেটা হচ্ছে এই সরকারকে অবশ্যই সরে যেতে হবে। তাদের সরে গিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্তি করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বাংলাদেশের ভেতরে মিয়ানমারের মর্টার শেল পাওয়া গেছে এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনির্বাচিত সরকার হলে প্রতিবাদ করার শক্তি থাকে না। জনসমর্থনহীন এই সরকার টিকে আছে অন্যের শক্তি দিয়ে। এদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে কথা বলতে চান না বলেও জানান তিনি। ফখরুল বলেন, গত ২২ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বাড়ার প্রতিবাদে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে বিএনপির ৩ জন নেতাকর্মী নিহত ছাড়াও এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশি হামলায় ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে অংশ নেয়া যুবদল কর্মী শাওনকে চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে কনক নামে একজন পুলিশ কর্মকর্তা। এসব ঘটনায় চার হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করার পাশাপাশি অজ্ঞাত আসামি ২০ হাজার। এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে ৫০ স্থানে। তিনটি হত্যাসহ প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়