ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

পুঁজিবাজারে মুনাফা তোলার হিড়িক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রবিবার লেনদেনের শুরুতেই ছিল ব্যাপক ক্রয়চাপ। এর ফলে মিনিটে লেনদেন হতে থাকে প্রায় কোটি টাকা। দেড় ঘণ্টা চলে এই প্রবণতা। এরই মধ্যে সূচক বাড়ে ৭৮ পয়েন্ট। এরপরই শুরু হয় পতন। দুপুর ১টার পরে সূচক কমে আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট। পরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট কমে শেষ হয় লেনদেন।
জানা গেছে- ফ্লোর প্রাইস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসীমা গণনা পদ্ধতি শেয়ারের ক্রয়মূল্যে হিসাব করাসহ নানা কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন অনেকটাই নির্ভার। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর অর্থনীতি নিয়ে যে আতঙ্কে পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতন হচ্ছিল, তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীল নীতি পরিবর্তনের আভাস বিনিয়োগকারীদের সাহস দিচ্ছে।
দিন শেষে যত সংখ্যক কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে তার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। বেড়েছে ৯৫টি কোম্পানির দর, বিপরীতে কমেছে ২১৭টির। আর আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে ৬৩টির, যেগুলোর সিংহভাগই লেনদেন হয়েছে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসে। তবে সূচকের পিছুটানেও লেনদেনের গতি সেভাবে কমেনি। গতকাল হাতবদল হয় ২ হাজার ২৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ২ হাজার টাকা। ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পুঁজিবাজারে ক্রমাগত সূচক পতন শুরুর পর এটিই সর্বোচ্চ লেনদেন। সেদিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।
তবে এই পতনকে স্বাভাবিক দর সংশোধন হিসেবে দেখছেন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী। তিনি বলেন, এটা সিম্পলি প্রফিট টেকিং, এর বাইরে কিছু নয়।
তিনি বলেন, টানা বাড়া-পড়া যেমন ভালো নয়, তেমনি টানা উত্থানও ভালো নয়। তবে আমাদের বাজারের একটা বৈশিষ্ট্য- যখন বাড়ে, সব শেয়ারের দাম বাড়ে। আর যখন কমে সবগুলোর দর কমে। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ভালো ছিল। ভলিউমটা ভালো ছিল, যার কারণে টার্নওভারটাও ভালো হয়েছে।
গতকাল ৪ খাতের লেনদেন হয়েছে ২০০ কোটির বেশি। এর মধ্যে আড়াইশ কোটির বেশি লেনদেন হয়েছে ৩ খাতে। আর ১০০ কোটির বেশি লেনদেন হয়েছে আরো ৩ খাতে। এছাড়া ৫০ থেকে ১০০ কোটির মধ্যে লেনদেন হয়েছে আরো ৮টি খাতে। একটির লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটির কিছু কম। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। ২৮৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে এই খাতে, যা মোট লেনদেনের ১৩.৪০ শতাংশ। দর বেড়েছে ১৪টির। বিপরীত ২৫টির দর কমেছে। ২টির দর অপরিবর্তিত ছিল। বড় দরপতন হয়েছে বস্ত্র খাতে। ৪৫টি বা ৭৬.২৭ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়েছে এ খাতে। লেনদেন হয়েছে ২৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা ১১.৬৫ শতাংশ। অন্যদিকে ৩টি কোম্পানির দর বৃদ্ধি ও ১১টির দর অপরিবর্তিত হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট সূচক কমেছে লাফার্জ হোলসিমের দর পতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমেছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কারণে। শেয়ারপ্রতি দাম কমেছে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আইপিডিসির দর ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট। এছাড়া ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইসলামী ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, ম্যাকসন স্পিনিং, মালেক স্পিনিং ও ম্যারিকোর দরপতনে সূচক কমেছে। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৪৩ দশমিক ৭০ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে আইসিবি। শেয়ারটির দর ৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ দর বেড়েছে। পাওয়ার গ্রিডের দর ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১০ দশমিক ৩২ পয়েন্ট। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো সূচকে যোগ করেছে ৯ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর বেড়েছে শমরিতা হসপিটালের। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৯০ টাকা ৪০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৮২ টাকা ২০ পয়সায়। জেএমআই হসপিটাল ছিল তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। শেয়ারের দর ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৯৩ টাকা ১০ পয়সায়। সমান দর বেড়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৮৮ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৮০ টাকা ৭০ পয়সা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়