ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

নারায়ণগঞ্জের ছাত্রদল নেতা জাকির রিমান্ডে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দুই দশক ধরে বিদেশে পালিয়ে থাকা নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের অস্ত্র মামলায় ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আসামিকে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াদ আহমেদ।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী আসামির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তলসহ জাকির খানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জাকির জানান, তিনি দীর্ঘদিন থাইল্যান্ডে আত্মগোপনে ছিলেন এবং স¤প্রতি ভারত হয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এরপর থেকে তিনি পরিচয় গোপন করে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সপরিবারে বসবাস করছিলেন।
এদিকে গত শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, পিএসসি বলেন, জাকির খানের বিরুদ্ধে ৪টি হত্যাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে তিনি এসব মামলায় জেল খাটেন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি আরো দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠেন। এ সময় তিনি নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকায় বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী ও মাদকের সম্রাজ্য গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে দেওভোগ এলাকার অন্য শীর্ষ সন্ত্রাসী দয়াল মাসুদকে শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পিছনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে শহরের ত্রাস হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেএমইএ’র সহসভাপতি সাব্বির আলম খন্দকার হত্যাকাণ্ডের পরে তিনি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। এ সময়ে বিভিন্ন মামলায় বিজ্ঞ আদালতে জাকির খান দোষী সাব্যস্ত হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে সাজা প্রদান করেন। এরপর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে জাকির খান দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন।
র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির খান জানান, তার বিরুদ্ধে ১৯৯৪ সালে সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন বিশেষ আইনে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় ১৭ বছরের সাজা হয় তার। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে তার সাজা কমে ৮ বছর হলেও তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে দেশে ও বিদেশে প্রায় ২১ বছর পলাতক ছিলেন। মূলত ২০০৩ সালে সাব্বির আলম হত্যা মামলায় আসামি হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়