ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

দুর্নীতি দমন কমিশন : ওসি মনিরুলের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানীতে আটতলা বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলোচিত রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রবিবার সংস্থাটির সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগে, গত ১৭ আগস্ট ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক??।
জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন রমনা মডেল থানার ওসির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির একটি অভিযোগ হাইকোর্টে পেশ করলে অভিযোগটি দুদকে জমা দেয়ার পরামর্শ দেন আদালত। হাইকোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যারিস্টার সুমন গত ১১ আগস্ট ওসির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ কমিশনে জমা দেন। তারই আলোকে কমিশন ওই ওসির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া গত ২১ আগস্ট ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ৪ আগস্ট ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এই বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সরকারি একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে পত্রিকাটির অনুসন্ধানে ওসি মনিরুলের এসব অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ সূত্র বলছে, যতটটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার সম্পদের পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি। পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সাকল্যে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এই সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন।
জানা যায়, ১৯৯২ সালে উপপরিদর্শক (এসআই) পদে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল ইসলাম, যখন এই পদটি তৃতীয় শ্রেণির ছিল। ২০১২ সালে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক হন। প্রায় ৩০ বছরের চাকরি জীবনে বেশির ভাগ সময় ঢাকা রেঞ্জে ছিলেন। তার বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়