ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রীর অভিযোগ : বিএনপির আন্দোলন মানে পুলিশকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের নমুনা হলো, আন্দোলন করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করা, পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা, সারাদেশে গণ্ডগোল করার অপচেষ্টা চালানো। নামসর্বস্ব যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সংলাপ করেছে, সেগুলোর বাস্তবিক অর্থে কোনো অস্তিত্ব নেই, আছে শুধু সাইনবোর্ড। তারা এই সমস্ত দল নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে বলে ঘোষণাও দিয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও এরকম একটি ঐক্য তারা করেছিল, যার ফলাফল হচ্ছে নির্বাচনে বিএনপির পাঁচটি আসন। এ সব দলকে নিয়ে আন্দোলন করলে অতীতে যেমন জনগণ সাড়া দেয়নি, এবারও দেবে না।’
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের বিএনপির আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটি আয়োজিত তিনদিনব্যাপী টেকসই উন্নয়নে পরিবেশ সুরক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন-২০২২ সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আয়োজক উপকমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমদ, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী ও আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
নির্বাচনের মাঠ থেকে বিএনপিকে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘নির্বাচনের মাঠ থেকে তো কাউকে কেউ সরাতে পারে না, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠ থেকে ২০১৪ সালে বিএনপি পালিয়ে গিয়েছিল এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনের মাঠ থেকে পালিয়ে গিয়ে ফেরত আসে। এতে নির্বাচনের ট্রেনের পাদানিতে চলে যায় তারা। এবার তারা নির্বাচনের ট্রেনের পাদানিতে চড়বেন নাকি ট্রেনে চড়বেন, সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে।’ বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে আবারো সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধিনে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন কমিশন। আর সংবিধান অনুযায়ী অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে বিশেষ করে সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে সরকার দেশ পরিচালনা করছিল সেই সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও তাই হবে।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই দেশে প্রথম পরিবেশ সুরক্ষা ও বনায়ন নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিবেশবিষয়ক সম্পাদকের পদ প্রবর্তন করেন। এ বিষয়ে দলের প্রথম সম্পাদক ছিলেন বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যিনি এক দশক ধরে অত্যন্ত যতেœর সঙ্গে দায়িত্বপালন করেছেন।’
উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির এই নিয়মিত আয়োজন যেমন দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করছে, তেমনি দেশে-বিদেশেও পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রণী অবস্থান ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়