ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী হল : সংকট নিরসনে ৬ দফা দাবি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের জন্য পাঁচটি হলে অনাবাসিক ও এক হলের ছাত্রীদের অন্য হলে ঢোকার ব্যবস্থা করাসহ নানা সংকট নিরসনে ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। গতকাল রবিবার বিকাল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে আগামী তিন দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানান শিক্ষার্থীরা। দাবি মানা না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তারা। এ সময় মানববন্ধনের অন্যতম আয়োজক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ও শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশরেফা তাসনিম বলেন, মেয়েদের হলগুলোর অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ভবনে তালা মেরে দেয়া হয়। কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে কোনো মেয়ে সেখান থেকে রক্ষা পাবে না। এক হলের মেয়েরা আরেক হলে ঢুকতে পারে না। এমনকি অনাবাসিক মেয়েরা নিজেদের হলে ঢুকতে পারে না। মেয়েদের হলে ফার্মেসি নেই। খাবারের দাম নেয়া হয় অনেক বেশি কিন্তু মান ও পরিমাণ অনেক কম। মেয়েদের হলে মা-বোনদের ঢুকতে দেয়া হয় না। তিনি আরো বলেন, রোকেয়া হলে ওয়ারড্রোব ঢুকাতে দেয় না, শামসুন্নাহার হলে আবার পাঁচ তাকের ওয়্যারড্রোব রাখতে দেয় না। কেন? এখান থেকে লাফ দিয়ে কেউ আত্মহত্যা করবে? হলে কোনো সিলিং ফ্যান নেই। সিলিং ফ্যান থাকলে এখানে নাকি আত্মহত্যা করবে!
গেস্টরুমে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তাসনিম বলেন, কোনো মেয়ে অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসার জন্য কোনো ফার্মেসি ও ওষুধের ব্যবস্থা নেই। ডাকসু থাকাকালীন অনেক সুযোগ-সুবিধা পেত মেয়েরা। কিন্তু আজ ডাকসু না থাকায় মেয়েরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
এ সময় কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থী রাফিয়া রেহনুমা রিদি বলেন, ডাকসু না থাকার কারণে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন নেই। প্রশাসনের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। শিক্ষকরা ঠিকই বেতন নেন কিন্তু হলগুলোতে ন্যূনতম কোনো মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা হয় না। প্রশাসন এই দাবিগুলো মেনে নিলে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব কমবে বলে মনে করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- অনাবাসিক ও এক হলের ছাত্রীদের অন্য হলে ঢোকার ব্যবস্থা করা; খাবারের মান বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা; পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার স্থাপন করা; হলের কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য কমানো এবং ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ; হলে ফার্মেসি স্থাপন এবং কোনো ছাত্রী রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করা ও অগ্রিম অ্যাপ্লিকেশন ছাড়া নাম এন্ট্রির মাধ্যমে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লেট গেট দিয়ে ঢোকার ব্যবস্থা করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়