ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

জনসংখ্যার তথ্য পেলে আসন পুনর্বিন্যাস : বললেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকার জনসংখ্যা বাড়া-কমার ওপর সংসদীয় আসন সংখ্যা বাড়বে বা কমবে- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। গতকাল রবিবার ইসির নিজ দপ্তরে তিনি জানান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছে আমরা সারা দেশের জনসংখ্যার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য চেয়েছি। তাদের দেয়া পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে কোথায় কোন আসন পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, তবে যদি দেখা যায় ঢাকার সাভারের কোনো আসনে জনসংখ্যা বেশি বা কোনো আসনে কম তাহলে সেসব আসন পুনর্বিন্যাস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। শুধু ঢাকা কেন সারা দেশের কোনো জেলার কোনো আসনে যদি সাড়ে ৫ লাখের (আনুপাতিক হার) অনেক বেশি বা অতিরিক্ত কম ভোটারও থাকে তাহলে সেসব আসন পুনর্বিন্যাস করা হবে। আবার পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম ভোটার রয়েছে এমন জেলা থেকে আসন কেটে এনে বেশি ভোটার এমন জেলায় আসন সংখ্যা বাড়ানোর নিয়মও রয়েছে। তবে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আমরা একটা ড্রাফট করে রেখেছি, সম্পূর্ণ তথ্য পেলে আসন পুনর্বিন্যাস করা হবে।
মো. আলমগীর বলেন, এখন আমরা ঘরোয়া কাজ শুরু করে দিয়েছি। বর্তমানে ডাটা সংগ্রহ করছি, কোথায় কয়টা আসন, কত ভোটার সংখ্যা ইত্যাদি। পরিসংখ্যান ব্যুরো একটা প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটা জেলাভিত্তিক। কিন্তু আমরা ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও জেলাভিত্তিক দেয়ার জন্য বলেছি।
তিনি বলেন, আইনে বলা আছে প্রশাসনিক খণ্ডতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এরপর জনসংখ্যার বিষয়টি আনতে হবে। তবে কোথাও কোথাও জনসংখ্যার বিষয়টি বিবেচনায় আসতে পারে। তথ্য সংগ্রহ করছি। বিশ্লেষণ এখনো শুরু হয়নি। জনসংখ্যা যেটা দেখেছি তাতে প্রতি আসনে ৫ লাখ ৫০ হাজার হয়। এতে খুব একটা পরিবর্তন হয় না। হয়ত হলেও দুএকটাতে পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ঢাকায় ২০টি আসন রয়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য পাওয়ার পরে বলা যাবে আসন বাড়বে না কমবে। তবে আসন বাড়ার চেয়ে আসন পুনর্বিন্যাসের সম্ভাবনা বেশি।
এর আগে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংসদীয় আসনের সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনেন। সেসময় ২৫টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন করা হয়। আসনগুলো হলো- নীলফামারী ৩ ও ৪, রংপুর ১ ও ৩, কুড়িগ্রাম ৩ ও ৪, সিরাজগঞ্জ ১ ও ২, খুলনা ৩ ও ৪, জামালপুর ৪ ও ৫, নারায়ণগঞ্জ ৪ ও ৫, সিলেট ২ ও ৩, মৌলভীবাজার ২ ও ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ ও ৬, কুমিল্লা ৬, ৯ ও ১০ এবং নোয়াখালী ৪ ও ৫।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে এ কমিশনার বলেন, স্থানীয় কিংবা জাতীয় নির্বাচনে আগে যেখানে এ যন্ত্র ব্যবহার হয়েছে, সেসব এলাকায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সর্বনি¤œ ৭০ থেকে ৮০টি এবং সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করবে ইসি। তবে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য নতুন প্রকল্প নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও ইভিএম কেনার বিষয়টা কমিশনের নয়, ইসি সচিবালয় দেখছে। তারা হয়ত একটা গাইডলাইন চাইতে পারে আমাদের কাছে।
মো. আলমগীর বলেন, সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপে টোটাল নির্বাচনী ম্যানেজমেন্ট থাকবে। ভুল থাকলে কেউ ধরিয়ে দিতে পারবে। রোডম্যাপ চূড়ান্ত। এখন প্রকাশের অপেক্ষা। প্রিন্ট হলেই প্রকাশ হবে। সচিবালয় বিষয়গুলো দেখছে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে, এটা ধরেই ইভিএমের নতুন প্রকল্প নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। সচিবালয় যদি দিতে পারে তবে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ভোট হবে। কারণ, কেবল অর্থ নয় সবকিছু হাতে পেলেই তবে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার সম্ভব।
তিনি বলেন, এ বিষয়ক প্রকল্প পাস না হলে বা বৈশ্বিক ক্রাইসিস পরিস্থিতিতে যদি অর্থ ছাড়া না হয় কিংবা সব পেলাম কিন্তু হার্ডওয়্যার যদি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি বিদেশ থেকে না আনতে পারে তাহলে তো হবে না। তবে আমাদের যে সক্ষমতা বর্তমানে আছে, এতে

৭০-৮০টি আসনে নিশ্চিত।
তিনি আরও বলেন, কোন কোন আসনে হবে তা এখনো ঠিক করা হয়নি। প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী আগে যেখানে ভোট হয়েছে সেসব এলাকাতেই হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসন, স্বাভাবিকভাবেই পৌর, ইউপিসহ যেসব ভোট হয়েছে সেসব এলাকাই আমলে নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়