ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

গৌড়মতি আমে লাখপতি পতœীতলার জিয়াউল

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আবু বকর সিদ্দিক নওগাঁ থেকে : নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার জিয়াউল হক নামের এক কৃষক ৯ বিঘা জমিতে লেট ভ্যারাইটি জাতের গৌড়মতি আম চাষ করে সফল হয়েছেন। গৌড়মতি আমের রং, আকার, স্বাদ এবং সময়ের কারণে ভালো দাম পেয়েছে বলে জানিয়েছেন জিয়াউল হক। তার এই সফলতা দেখে নওগাঁর অনেকেই গৌরমতি আম চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
এ ব্যাপারে কৃষক জিয়াউল হক ভোরের কাগজকে বলেন, উপজেলার শিয়ারা ইউনিয়নের সুন্দরপুড় গ্রামের অনেকে বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদন করছেন। তবে তার ভিন্ন জাতের আম চাষ করার ভাবনা ছিল। ২০১৯ সালে ময়মনসিংহ থেকে গৌড়মতি জাতের আমের চারা সংগ্রহ করে তা রোপণ করেন। এব পরে নিজেই বাগানের পরিচর্যা শুরু করেন। পরে ২০২১ সালের দিকে কিছু আম গাছে আমের মুকুল আসে ও আম ধরতে শুরু করে। তিনি ২০২১ সালে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মন আম বাজার জাত করেন কিন্তু ২০২২ সালে এসে তিনি বাগান পরির্চযার থেকে শুরু করে ৫-৬ লাখ টাকা মতো খরচ করে এ বছর ২৩-২৪ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন।
তিনি বলেন, সিজোনাল আমের বাজার দাম কম হলেও অসময়ের গৌড়মতি আম বাগান থেকে মণপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকা দামে বিক্রয় করা যায়। বাগান পরিচর্যার জন্য ৫ জন লোক ৭ হাজার টাকা বেতন দিয়ে রেখেছি। এতে পাঁচটি পরিবারের কর্মসংস্থান হয়েছে। কোনো বেকার যুবক চাকরি না করে গৌড়মতি আমের বাগান তৈরি করলে সে সুন্দরভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। একই এলাকার আবুল কাশেম নামের এক কৃষক বলেন, আমার ৩ বিঘা জমিতে সিজোনাল আমের বাগান রয়েছে কিন্তু সিজোনাল আমের থেকে গৌড়মতি আম আনেক লাভজনক বলে আমি মনে করছি। আমার বাগানের পাশে জিয়াউল হকের গৌড়মতি আমের বাগানে এই বছর যে পরিমান আম ধরেছে আমি দেখে হতবাক হয়েছি।
শুধু তাই নয় সিজোনার আমের চাইতে বাজারে গৌড়মতি আমের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। চলতি মৌসুমে আমের বাজারে দাম ছিল ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। তবে গৌড়মতি আমের বাজার মণ প্রতি ১০-১২ হাজার টাকা, তা আবার বাগান থেকেই বিক্রয় করছেন জিয়াউল হক। এ বছর যে দামে গৌড়মতি বিক্রয় হয়েছে এতে করে অনেক টাকা আয় হবে বলে মনে করছি। এই জন্য আমি নিজে এবার নতুন করে ৪ বিঘা জমিতে গৌড়মতি আমের চারা রোপণ করেছি। আশা করি আগামীতে গৌড়মতি আম বাগান করে আমি সফল হবো।
আম চাষিরা জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শে বাগান পরিচর্যা করেন এসব বাগান মালিকরা। আম চাষি সিদ্দিক হোসেন বলেন, আমি গৌড়মতি আম বাগানে পরিচর্যার কাজ করে মাসে ৭ হাজার টাকা বেতন পাই। তবে জিয়াউল ভাইয়ের কাছ থেকে পরার্মশ নিয়ে অন্যের জমি লিজ নিয়ে নিজেই ২ বিঘা জমিতে গৌড়মতি আমের বাগান তৈরি করেছি। আশা করি আগামী মৌসুমে আম ধরবে।
এ ব্যাপারে পতœীতলা কৃষি অফিসার প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, গৌড়মতি আম লেট ভ্যারাইটি জাতের আম। আমের রং ও আকার অনেক ভাল। খেতেও সুস্বাদু। বাজারে এই আমের চাহিদা ও দাম বেশি। তবে এ মাসের শেষের দিকে মৌসুম শেষ হবে। বর্তমানে গৌড়মতি আমের সফলতা দেখে পতœীতলা উপজেলার অনেক কৃষক এই জাতের আম বাগান তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ ব্যাপারে আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করিছ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়